পশ্চিম তীর: শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী ১৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে

0
42

২০ এপ্রিল, শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে অভিযান চলাকালে অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

গাজা যুদ্ধের ডামাডোলে পশ্চিম তীরে ধারাবাহিকভাবে চলা সহিংসতার খবর তেমন একটা সামনে আসছে না। অথচ সেখানে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে তাণ্ডব চালাচ্ছে

৫০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে, ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী ক্যাম্পে অবরোধ বজায় রেখেছিল। এসময় তারা বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায়, বহু লোককে গ্রেপ্তার করে এবং বাড়িঘর ধ্বংস করে। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের পর মেডিকেল টিম এবং সাংবাদিকরা ক্যাম্পের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে।

প্যারামেডিক এবং বাসিন্দারা মোট ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন, যার মধ্যে একটি ১৫ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে৷ আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, একজন স্বেচ্ছাসেবক প্যারামেডিক আহত ব্যক্তির কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় তার পায়ে গুলি করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে আরেকজন হলেন ২৯বছর বয়সী সেলিম ঘন্নাম। ইসরায়েলি স্নাইপারের তার মাথায় গুলি করেছিলো। ঘন্নাম তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘন্নামের মৃতদেহ পুরো দিন ধরে পরিবারের বাড়িতেই ছিল কারণ চিকিত্সকরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছিলেন না।

ইসরায়েলিদের গুলিতে ৫০ বছর বয়সী এক অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত হয়। এই অ্যাম্বুলেন্স চালক আহতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় ইসরায়েলিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

এক জন প্রত্যাক্ষদর্শী কাজমাউজের মতে, রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা মৃতদেহগুলি পচতে শুরু করে এবং দুর্গন্ধ নির্গত হতে শুরু করে। কারণ বাসিন্দারা স্নাইপারের গুলি থেকে বাচতে তাদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।

অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক বুলডোজার দিয়ে রাস্তা এবং দোকানগুলি ভেঙে দেয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস করেছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে।


তথ্যসূত্র:
1. West Bank: Israeli forces kill 14 Palestinians in days-long refugee camp assault
https://tinyurl.com/948tkjka

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
পরবর্তী নিবন্ধসালাতুল ইস্তিস্কার অনুমতি দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন