ভারতে গেরুয়া সন্ত্রাসীকে বিয়ে না করায় মুসলিম তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে হত্যা

6
1363
ভারতে গেরুয়া সন্ত্রাসীকে বিয়ে না করায় মুসলিম তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে হত্যা

ভারতে বিহারের বৈশালি জেলার আনঙ্কার থানার চাঁদপুর অঞ্চলের গুলনাজ খাতুন। এই ২০ বছর বয়সী মুসলিম তরুণীকে প্রায় ৩ মাস ধরে চন্দন কুমার ও সতীশ কুমার জ্বালাতন করতো, প্রথমে গুলনাজকে প্রেম করার জবরদস্তি করে। এমনকি গুলনাজ খাতুনকে বিয়ে করবে বলে এই মালাউন হুমকি পর্যন্ত দেয়। যদি বিয়ে না করে তাহলে হত্যা করবে, তবু গুলনাজ রাজি হয়নি।
আর মুসলিম নারী হিসেবে হিন্দু মালাউনকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক ছিল। এটাই ইসলামি শরিয়ার নির্দেশ। কিন্তু এটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ৩০ শে অক্টোবর গুলনাজ খাতুন ও গুলশান খাতুন দুই বোন বাড়ির পাশে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। সেই সময় চন্দন কুমার ও সতীশ কুমারসহ তার সঙ্গীরা তাঁকে তুলে এনে শ্লীলতাহানী করে, সে বাধা দেওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবং খালে ধাক্কা মেরে দিয়ে পালিয়ে যায়। ছোটো বোন গুলশান চিৎকার করে অনেক দেরিতে মানুষ পৌঁছায়। সবাই আসতে আসতে প্রায় ৮০% পুড়ে যায় গুলনাজ। সেই দেহ নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়, ১৫ দিন পরে গতকাল রাত্রি ১২ টায় মারা যায় গুলনাজ।

অপরাধীরা সন্ত্রাসী দল বিজেপি ও আরএএস সমর্থক হিন্দু হওয়ায় এই পুরো মামলায় পুলিশ অবহেলা করতে থাকে।
এদিকে, নিহত গুলনাজের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন যে আসামিরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। মামলা না তুললে অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হবে।
লাভ জিহাদ লাভ জিহাদ করে চেঁচানো চাড্ডিরা আজ আবার অপরাধীর সমর্থনে দাঁড়াবে। এই ঘটনা যদি ঠিক উলটো হতো এতক্ষণে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে তোলপাড় হয়ে যেত। তারা আজ কোথায়?

সেই মুসলিম তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে, মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। নিরীহ পরিবার মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় বিচার চাইছে । এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদ নেই। মোদি মিডিয়া ও বিজেপির আইটি সেল আজ খামুশ। অপরাধী যেহেতু ‘সতীশ কুমার’! রাজনৈতিক সেকুলার বাবুরাও চুপ, ফরিদাবাদের ঘটনায় ফাঁসি চাওয়া বাবুরা চুপ, এখন সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে ! প্রতিবাদের শব্দগুলোও আজ সাম্প্রদায়িক ! সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদ নেই ! নেই ‘ লাভ জিহাদ ‘ এর মত গম্ভীর অভিযোগ । ডিপি কালো করারও জিগির নেই ! হিন্দুত্বের ‘ ঝাঁসির রানী ‘ কঙ্গনার মুখ থেকে আজ শব্দ হারিয়ে গেছে । শুধু কঙ্গনা নয় ! বরং অনেক লেখকের লেখনীর কলম বন্ধ করে রেখেছে। কেন এমনটা হচ্ছে বা হল! এর জন্যে বুদ্ধিজীবী হওয়ার প্রয়োজন নেই । সামান্য চিন্তা করলেই উত্তর বেড়িয়ে আসবে। এখানে নির্যাতিতা একজন ‘ সংখ্যালঘু ‘ মুসলিম মেয়ে। আর এখানে অপরাধী আবার ‘ গেরুয়া ‘ হিন্দুত্ববাদী! হয়তো এই অপরাধীদেরকেও কোন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ হিন্দু বীর ‘ বলে পুরস্কার প্রদান করবে। নতুবা এদের বাঁচাতে সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিশাল মিছিল বের হবে। তবে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন এখনো তাদের গ্রেফতার করে নি। আর হয়তো এই সন্ত্রাসীদের কোন বিচারও হবে না।

6 মন্তব্যসমূহ

  1. ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন।
    প্রিয় মুসলিম বোন ওপারে ভালো থাকিশ দোয়া করি আল্লাহ যেন তোকে পরিপূর্ণ সুখে রাখেন আমীন ইয়া রাব্বানা,,,,,!!চিন্তা করিশনা বোন খুব শীঘ্রই তোর দ্বীনি মুজাহিদ ভাইয়েরা কানায় গণ্ডায় এ মালাউনদের প্রতিশোধ নিবে ইনশাআল্লাহ।

  2. বোনরে পৃথিবীর সব মুসলমানরা ঘুমালেও,,, মনে রাখিশ,,,,, আল্লাহর একনিষ্ঠ কিছু বান্দা এমন রয়েছে যারা কখনোও ঘুমায়নারে বোন! যেখানেই তোদের মতো মাজলুম বোনদের আত্মচিৎকার শুনে,,,, নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সেখানেই ছুটে যায়,,,, চিন্তা করিশনা বোন খুব শীঘ্রই তারা চলে আসবে তোর পবিএ রক্তের বদলা নিতে বোন,,,,! এসব গেরুয়া সন্ত্রাসরা যেমন তোর প্রিয় আত্মাকে থাকতে দেয়নি এবং তোকে দুনিয়ায় বুকে শান্তিতে বাঁচতেও দেয়নি,,,,ঠিক তোর ঐ সমস্ত মুজাহিদ ভাইয়েরাও তোর ও ইসলামের চির শত্রু এ মালাউনদেরকে কখনোই শান্তিতে বসবাস করতে দেবেনা,,,,,!তাঁরা ওদের সব কয়টাকেই ধরে জবাই করবে ইনশাআল্লাহ,,,, ইনশাআল্লাহ,,,,,!! শপথ করলাম বোন এর বদলা নেবই নেবো ইনশাআল্লাহ,,,,, ইনশাআল্লাহ,,,,!!

  3. বোন তোর আত্না দেখ‌তে পার‌বে কিছু দি‌নের ম‌ধ্যে আমরা এর বদলা নি‌তে যা‌চ্ছি। আর হামলাটা হ‌বে মো‌দির সংস‌দে শহী‌দি হামলা । গেরুয়া সন্ত্রাসীরা পার‌লে মোকা‌বিলা ক‌রিস । আর শু‌নে রা‌খিস সুলতান মাহমুদ গজনব‌ীর ই‌তিহাস প‌ড়িছ তো‌দের ম‌নে আনন্দ আস‌বে।

  4. ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

    রক্তের প্রতিশোধ রক্ত দিয়েই নেয়া হবে। ইনশা আল্লাহ।

    উগ্রবাদী হিন্দু মালাউন গুলার প্রাপ্য
    বুযিয়ে দেয়া হবে।

  5. হে মুসলিম ভাইয়েরা কিয়ামতের দিন যদি এই বোন আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে যে হে আল্লাহ দুনিয়াতে কতইনা মুসলমান ভাই ছিলো আমাদের কে সাহায্য করার জন্য আসে নাই তখন আমরা কি বা জবাব দিবো ৷একটু কি চিন্তা করেছেন, যদি আপনার আমার মা ও বোন কে এরকম করা হত তাহলে কি আমরা বসে থাকতাম, সে কি আমাদের বোন নয়? আল্লাহ তায়ালা সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুক
    আমিন৷

Leave a Reply to উড়ন্ত ঈগল প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহুমকির মুখে সামাজিক নিরাপত্তা
পরবর্তী নিবন্ধসোমালিয়া | পুলিশ হেডকোয়াটারে শহিদী হামলা, ২৬ মুরতাদ সদস্য হতাহত