
২০০ জন মৌরতানিয়ান মুফতী আলেম এবং ইমাম ইসরায়েলের সাথে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্থাপন ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বলে ফতোয়া জারি করেছেন।
তাঁরা বলেন, ফিলিস্তিনের ভূমি ও প্রথম কিবলা মসজিদে আকসাকে অপহরণ ও দখলকারী ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন কোনো ক্রমেই বৈধ নয়৷
গত ( রবিবার ৩১ জানুয়ারি ২০২১) সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানি নোয়াকোচটের আল-তৌফিক মসজিদে আয়োজিত একটি সেমিনারে তারা ফতোয়াটিতে স্বাক্ষর করেন৷
‘দখলদার ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে নিকৃষ্টতম হারাম’ আখ্যা দিয়ে তাঁরা বলেন,বস্তুবাদী ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক করা মানে তাদের আনুগত্য করা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুর সাথে জোটবদ্ধ হওয়া, এবং ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করা৷ পবিত্র কুরআনে সুরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতে বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণরুপে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
এছাড়াও তাঁরা তাদের দেশের সরকারকে ইসরায়েলের সাথে পূর্বে যেই সম্পর্কছিন্নের ঘোষণা দিয়েছিলো তার ওপর অটল থাকার আহ্বান জানান।
ফতোয়ায় স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হলেন, ‘শেখ মুহাম্মদ আল হাসান ওলদ আল-দাদ্দো, যিনি মোরিতানিয়ার ওলামায়ে কেরামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান।
লক্ষণীয় যে, মৌরতানিয়া ২০০৯ সালে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ইসরায়েল ও আমেরিকান সংবাদ সূত্র প্রকাশ করে যে, মৌরতানিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কোর পরেই ইসরায়েলের সাথে চুক্তিতে যোগ দিতে চায়।
সূত্র: আলকুদস, এ্যারাবিক আরটি ডট কম