মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কা সরকারের

0
837
মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে কবর দেওয়ার শ্রীলঙ্কা সরকারের

শ্রীলঙ্কা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের কবর দেয়া হবে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে। কলম্বো গেজেট জানিয়েছে যে, সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেলা বলেছেন, দ্বীপটির এক পাশে এজন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভারত মহাসাগরের মান্নার উপসাগরে ইরানাথিবু দ্বীপটি এখন করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য নির্ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এ দ্বীপটি রাজধানী কলম্বো থেকে তিন শ’ কিলোমিটার দুরে এবং দাফনের জন্য এই দ্বীপকে নির্বাচিত করার কারণ হিসেবে এর কম ঘনবসতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসঙ্ঘ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

কিছু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা শ্রীলঙ্কা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। শ্রীলঙ্কা মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ বলেছেন, ‘এটি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত।এটা একেবারেই বর্ণবাদী এজেন্ডা।’

ওই দ্বীপের একজন ধর্মযাজক মাধুথিন পাথিনাথার বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়রাও কষ্ট পেয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। এটা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হবে।’

শ্রীলঙ্কায় মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আছে। তবে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক দাহ করার নীতি থেকে সরকার সরে আসার ঘোষণা দিলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তও তাদের জন্য অবমাননাকর বলে মনে করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৫০ জন। কিন্তু এর মধ্যে তিন শ’ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ায়েজদের তালিকায় ‘হেফাজত নেতা’ থাকায় মাহফিল বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধখোরাসান | তালেবানের হাতে নারী ও শিশু অপহরণকারী কাবুল সেনা অফিসার আটক