গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০টি কারখানা ধ্বংস, চাকুরি হারিয়ে বেকার ৫০০০ ফিলিস্তিনি

0
540
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০টি কারখানা ধ্বংস, চাকুরি হারিয়ে বেকার ৫০০০ ফিলিস্তিনি

গত মে মাসে অবরুদ্ধ গাজায় ইহুদীবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে ২০টি কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে, এতে চাকুরি হারিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিম।

ফিলিস্তিনের জেনারেল ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন প্রধান সামি আল আমাসি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন,অবরুদ্ধ গাজায় গত মে মাসে ইসরাইলের ১১ দিনব্যাপী আগ্রাসনে গাজার ২০টি কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে, এতে ৫ হাজার কর্মী চাকুরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।

বিবৃতিতে সামি সন্ত্রাসী ইসরাইলের সর্বশেষ আগ্রাসনে গাজার অর্থনৈতিক খাত প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বর্ণনা দেন।

বিগত দেড় দশক ধরে গাজার দূর্বল অর্থনীতি, যা কোভিড ১৯ কারণে আরো নাজুক অবস্থায় ছিল কিন্তু সর্বশেষ ইসরাইলি আগ্রাসনে তা আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে সামি উল্লেখ করেন।

আক্রমনে গাজার বড় কোম্পানিগুলোর বহুতল ভবন ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে এনে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের মূলত অর্থনৈতিক খাতগুলিই ইহুদিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে সামি ইঙ্গিত করেন।

এদিকে, কোভিড ১৯ এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে গত এক বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম চাকুরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে সামি প্রতিবেদনে তুলে ধরেন।

শুধুমাত্র কোভিড ১৯ এর কারণে, ফিলিস্তিনি অর্থনীতির ২০ কোটি শেকেল (61,377,914.085920 USD) ক্ষতি হয়েছে এবং ফিলিস্তিনের বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়ে বর্তমানে ৫৫% এ পৌছেছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত ১১ দিনব্যাপী ইসরাইলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজায় ৬৯ শিশু ও ৪০ নারীসহ কমপক্ষে ২৭৯ জন মুসলিম নিহত হন। আহত হয়েছেন ১৯১০ জন ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাগরিক নিবন্ধন অনুযায়ী ইসরাইলের ঐ আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৪১ শিশু ও ২৫ নারীসহ ১৯ টি ফিলিস্তিনি পরিবার চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

৯০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। হামলায় অবরুদ্ধ গাজার প্রশাসনিক অবকাঠামো সহ বহু আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে।

 

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ কেজি গাঁজাসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
পরবর্তী নিবন্ধ৯/১১ পরবর্তী আমেরিকা, ৩০ হাজারের অধিক মার্কিন সৈন্যের আত্মহত্যা