মহিমান্বিত রবের নিয়ামতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জাপন করছেন সম্ভাব্য ইসলামিক ইমারত সোমালি মুসলিমরা

ত্বহা আলী আদনান

2
3539
মহিমান্বিত রবের নিয়ামতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জাপন করছেন সম্ভাব্য ইসলামিক ইমারত সোমালি মুসলিমরা

আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা, আল-কাতায়েব ফাউন্ডেশন থেকে “বিশ্বাসীদের জাগ্রত করুন” শিরোনামের ১০ মিনিটের একটি নতুন ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তাটিতে সোমালিয়ায় হিজরতকারী একজন সোয়াহিলি ভাষী মুজাহিদ সোমালিয়ার কিছু চিত্র তুলে ধরেন এবং মুসলিম যুবকদেরকে সোমালিয়ায় হিজরতে উৎসাহিত করেন।

কামান্দ হাশেম নামে উক্ত মুহাজির মুজাহিদ বলেন, “ইসলাম প্রিয় আমার ভাইয়েরা! আমি আপনাদের নিকট কিছু বার্তা পাঠাতে চাই।

আমি বর্তমানে সোমালিয়ায় আছি, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা একটি বনের মাঝখানে আছি, যেখানে আমরা জিহাদে শরিক হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, আমরা এই ভূমিতে বর্তমানে খুব সাধারণ জীবনযাপন করছি। মহান আল্লাহ্ তা’আলা এখানে আমাদেরকে সব ধরণের রিজিক দিয়েছেন। আমরা এখানে কোমল পানীয়ও পাই, আমরা উট, ছাগল এবং বিভিন্ন হালাল পশুর গোস্ত দিয়ে আমাদের খাবার সম্পন্ন করি, এমনকি গরুর মাংসও।

আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন এখানে আমাদেরকে প্রতিদিনের জীবিকা নিয়ে চিন্তিত হতে হয় না।

তিনি যোগ করেছেন: আমরা জানি যে, নবীর সময়ে নবী (সা.) ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য মুসলিমদের একটি বিশাল বাহিনী সংগঠিত করেছিলেন, শুধুমাত্র একজন মুসলিম নারীকে ইহুদীরা অপদস্থ করেছিল।

আল্লাহর কসম যদি তাদের সময়ে এমনটা হতো! যখন কাফেররা ফিলিস্তিন ও ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের মুসলিম ভাইদের আক্রমণ করেছে?

অথচ আমরা এখন কী করছি, কী অবস্থায় আছি? যখন আমাদের পরিবারের সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে? আমরা কি এখনো বসে থাকব, আমরা কি কিছুই করব না?

তিনি আরও যোগ করেন: “অতএব, আমি আপনাদেরকে কোরআন পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি, জিহাদের সম্পৃক্ত সূরাগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিচ্ছি এবং সোমালিয়ায় হিজরত করার জন্য উৎসাহিত করছি। এদেশে বর্তমানে কষ্ট রয়েছে শুনে প্রতারিত হবেন না। কাফেররা মিডিয়ার মাধ্যমে সোমালিয়ায় ক্ষুধার্ত আর অভাবের যে চিত্র তুলে ধরেছে, তা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে মানুষ খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জাপন করছেন।

তিনি তার বার্তাটি এই বলে শেষ করেছেন: “জেনে রাখুন যে সোমালিয়ায় জিহাদ চলছে, মহান রব আমাদের সর্বোত্তম বিধান প্রদান করেছেন, তিনি মহিমান্বিত। এখানে সেই মহিমান্বিত রবের বিধান দ্বারা জীবন ব্যাবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। আমি এই কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে আপনাদেরকে সোমালিয়ায় আসতে এবং আমাদের সাথে বিলম্ব ছাড়াই জিহাদের কাফেলায় যোগ দিতে উৎসাহিত করছি।”

এরপর ভিডিওটিতে একটি ইসলামিক সংঙ্গিত সেশনের ক্লিপ দেখানোর পর, ইয়েমেনে ক্রুসেডার মার্কিন বোমা হামলায় শহীদ শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকির (র.) একটি বক্তৃতা উপস্থাপন করা হয়। যেখানে তিনি বদরের যুদ্ধের পরে ঘটে যাওয়া একটি গল্প বর্ণনা করেছিলেন। কীভাবে একজন মুসলিম এক ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন, যে মদিনার বাজারে একজন মুসলিম মহিলাকে অপদস্থ করেছিল। আর কীভাবে মহানবী (সা.) ঐ ইহুদিদেরকে শায়েস্তা করতে একটি সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করেছিলেন।

শাইখ সেই সময়ে সাহাবীদের অবস্থার তুলনা করেছেন এবং কীভাবে নবী (সা.) একজন মুসলিম মহিলাকে সমর্থন করতে যুদ্ধের জন্য একটি সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করেছিলেন – তা বর্ণনা করেছেন।

আর আজকে ইসলামী বিশ্বে মুসলমানদের অবস্থা কেমন? যেখানে এই জাতীর পুরুষরা মুসলিম মহিলাদের রক্ষা করার জন্য তাদের মধ্যে কোন কম্পন বা তাদের শরিরে নড়চড় তৈরি হয় না। এরপর শাইখ আব্বাসীয় খলিফা আল-মুতাসিমের গল্প উল্লেখ করেছিলেন, যিনি একজন মহিলার ডাকে সাড়া দিয়ে তার উপর নির্যাতন চালানোর প্রতিবাদ করতে একটি বাহিনীকে রোমানদের সাথে লড়াই করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন।

2 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to নাসরুল্লাহ মানসুর প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধখোলা জায়গায় নামাজ সহ্য করা হবে না বলে হুমকি: হরিয়ানার উগ্রপন্থী মুখ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের রায় দেয়ার পর মদ্যপান উৎসব করেছিল গগৈসহ বিচারপতিরা