দুই সপ্তাহের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর উপর ৪র্থ বারের মত সফল হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ৩ বর্বর ইহুদি নিহত এবং আরও ১২ ইহুদি আহত হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গতরাতে (৭ এপ্রিল) অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের জবরদখলকৃত একটি বিনোদন কেন্দ্রে সফল হামলা চালানো হয়। যাতে দখলদার ইসরাইলের ২ সেনা ও এক দখলদার ইহুদি নিহত হয়। এই হামলায় আরও ১২ অভিশপ্ত ইহুদি আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
গত মার্চের শেষ দিকে ইসরায়েলে পর পর কয়েকটি সফল হামলা চালান ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে দখলদার ইসরাইলের ১১ ইহুদি নিহত হয়, আহত হয় আরও অনেক। বরকতময় উক্ত হামলাগুলোর পর পূণরায় গত রাতে ইসরায়েলের একটি বিনোদন কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালান প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
সূত্র মতে, ২৯ বছর বয়সী একজন ফিলিস্তিনি যুবক গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ বরকতময় এই হামলাটি চালিয়েছেন। যা ইসরায়েলের কথিত রাজধানী তেল আবিবের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা ডিজেনগফ স্ট্রিটে অবস্থিত একটি বারে চালানো হয়েছিল। হামলাটি এমন সময় চালানো হয়েছে, যখন দখলদার ইহুদীরা বারটিতে মাতাল হয়ে শেষ বারের মতো নংরামিতে মজে ছিল।
ঐ বীর মুসলিম যুবক কর্তৃক বারে চালানো হৃদয় উষ্ণকারী সশস্ত্র হামলায় ৩ ইহুদি নিহত ও ১২ ইহুদি আহত হওয়ার কথা হলুদ মেদায় স্বীকার করা হয়েছে। পরে আহত ৯ দখলদারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার কালে ৪ ইহুদির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে সারা রাত ধরে চিরুনী অভিযান চালানোর পর, ফজরের নামজের পর দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ ঘোষণা করে যে, তারা আক্রমণকারী ফিলিস্তিনি উক্ত বীর যোদ্ধাকে শাহীদ করেছে।
ফিলিস্তিনি এই বীর যোদ্ধা বরকতময় এই অপারেশনের মাধ্যমে মোসাদের মত গোয়েন্দাদের হতবাক করে দিয়ে নিপীড়িতদের চোখের জল মুছেছেন কিছুটা হলেও। আর মুসলিমদের হৃদয়গুলোকে উষ্ণ করেছেন। তারপর মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে আখেরাতের পথে যাত্রা শুরু করেন ঐ বীর মুজাহিদ – এমনটাই মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।