আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অখন্ড ভারত গড়া হবে। এই পথে বাধাদানকারীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মুসলমানদেরকে হুমকি দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরএসএস’ প্রধান মোহন ভাগবত।
হরিদ্বারে এক মন্দিরে “মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা” অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদানকালে প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে এমনটিই বলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনটির প্রধান। সে আরো বলেছে, অখন্ড ভারতের এজেন্ডা আরএসএস এর জন্য সব সময় শীর্ষে রয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে ঘুরেফিরে এই ইস্যুটিই বারবার টেনে আনছিল সে।
সন্ত্রাসবাদী এই নেতা আরো বলে,”সনাতন ধর্মই হিন্দু ধর্ম। বিশ থেকে পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারত অখন্ড ভারত হবেই। কিন্তু যদি আরও একটু চেষ্টা করি, তাহলে স্বামী বিবেকানন্দ এবং ঋষি অরবিন্দের স্বপ্নের অখণ্ড ভারত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এটাকে কেউ আটকাতে পারবে না। যে মাঝখানে আসবে তাকে ধ্বংস করা হবে। যাঁরা সঙ্গে আসবে আসো, নইলে রাস্তা থেকে সরে যাও”
তার বক্তব্যে আরো ফুটে উঠে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দুদের তোড়জোড় ও পরিশ্রমের কথা। সে বলে,”আমরা এক হয়ে দেশের জন্য জীবন-মরণ পণ করছি।
ভাগবত জানিয়েছে যে, আমরা আলাদা, আমরা বিভিন্ন। কিন্তু আমরা পৃথক নই। দেশের জন্য আমরা প্রাণ দিতে শুরু করেছি এবং সবাইকেই এটা অনুসরণ করা উচিত।”
হিন্দুদের সশস্ত্র হবার আহবান জানিয়ে সে বলে, “আমরা অহিংসার কথা বলব এবং হাতে লাঠিও রাখব। কারণ এই পৃথিবী শক্তি ছাড়া মানে না।”
উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরএসএস’ প্রধানের বক্তব্য থেকে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়।
প্রথমত, রামরাজ্য বা অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার জন্য মুশরিকরা সুপরিকল্পিতভাবে আগাচ্ছে। তারা তাদের লক্ষ্য স্থির করেছে, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা জনসমর্থন আদায় করছে উগ্রবাদী বক্তৃতা দিয়ে। তারা তাদের যুবকদের প্রশিক্ষিত করছে অস্ত্র দিয়ে। তারা সাধারণ মানুষদের অস্ত্র ধরতে আহবান জানাচ্ছে এবং তাদের শত্রুদের স্পষ্টরূপে হুমকি বা থ্রেট দিচ্ছে যে, যারাই তাদের সামনে আসবে তাদেরকেই ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
সাধারণ হিন্দুদের উৎসাহ ধরে রাখতে তারা আশ্বাস দিচ্ছে যে, মাত্র ১৫ বছরেই তারা তাদের স্বপ্নের হিন্দুরাষ্ট্র কায়েম করবে। তারা মিছিলের নামে মুসলিম মহল্লাগুলোতে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে, আবার এই ধ্বংসলীলাকে জাস্টিফাই করছে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যে মুসলিমরাই নাকি আগে পাথর ছুড়ে আক্রমণ করছে। হিন্দু যুবকদের ইসলাম অবমাননাকর স্লোগান দেবার অংশটুকু কৌশলে এড়িয়ে যায়।
হকপন্থি আলেমগণ ও ইসলামি বিশ্লেষকরা মনে করেন, মুসলিমদের উচিৎ এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আজ ভারতে উগ্র হিন্দুরা সম্পূর্ণরূপে তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও উগ্র হিন্দুরা তৎপরতা বাড়াচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে সকল মুসলিমদের উচিৎ শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করা।
It’s bad dream of them.
মরবো যখন বীরের মতো লড়াই করেই মরবো, তবুও এদের স্বপ্ন পূরন হতে দেবো না ইনশাআল্লাহ