পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দেশ টোগোতে হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। দেশের উত্তর সীমান্তে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে পরিচালিত উক্ত হামলায় ১০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে রাতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাঁসো ও টোগো সীমান্তে সেনাবাহিনীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে দেশটির সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬ এরও বেশি সেনা সদস্য। একই সাথে সেনাবাহিনীর একটি সামরিক পোস্ট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর ৬০ সদস্যের একটি দল দেশটির সাভানেস অঞ্চলে এই হামলাটি চালিয়েছেন। টোগো সেনাবাহিনীর একটি সামরিক পোস্ট টার্গেট করে হামলা চালানোর পর প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।
সম্প্রতি, বুরকিনা ফাঁসোর দক্ষিণ সীমান্তের দেশ বেনিন এবং আইভরি কোস্টের সামরিক বাহিনীর উপরও একাধিক হামলা চালিয়েছেন জেএনআইএম যোদ্ধারা। তবে হামলাগুলোতে কত সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
সাম্প্রতিক এই হামলাগুলো এমন একটি সময়ের চালানো হচ্ছে, যখন আল কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকার শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) পুরো পশ্চিম আফ্রিকা জুড়ে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।
একই সময়ে, আল-কায়েদা-সংযুক্ত আনসারু সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে বেনিনের পূর্ব অংশে। যেটি টোগোর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। একই সাথে নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে দলটি তাদের অবস্থান মজবুত করে চলছে।
ধারনা করা হচ্ছে যে, আল-কায়েদা আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলছে। অর্থাৎ বৃহত্তর আফ্রিকায় ৪টি ভাগে কাজ করবে আল-কায়েদা।
আল্লাহু আকবার!
মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া,খিলাফত প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে..
আলহামদুলিল্লাহ।