ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের সাথে তাল মিলে মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে তাদের দালাল পুলিশ প্রশাসন। এবার বিজেপি শাসিত যােগীর রাজ্য উত্তর প্রদেশে নিরাপরাধ অসহায় মুসলিম ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করলো সন্ত্রাসী যোগীর পেটোয়াবাহিনী হিন্দুত্ববাদী ইউপি পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার ইসলামনগর গ্রামে আবদুল রহমানের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানোর সময় প্রতিবাদ করায় মুসলিম মহিলাকে গুলি করে খুন করে।
সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, গরু জবাইয়ের অভিযােগে আবদুল রহমানকে গ্রেফতার করতে যায় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। সে সময় বাড়িতে আব্দুলের বােনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সারা বাড়িতে ছিল উৎসবের মেজাজ। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দিতে চান ৫৩ বছর বয়সী আব্দুলের মা রােশনি। এই সামান্য প্রতিবাদ মেনে নিতে পারেনি যােগীর রাজ্যের পুলিশ। মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রােশনির।
রােশনির আরেক ছেলে আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পনেরাে থেকে বিশজন পুলিশ তাঁর ভাই আবদুল রহমানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ দল নিয়ে তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালায়। অনেক জিজ্ঞাসা করলেও রহমানকে কেন হেফাজতে নেওয়া হবে তা জানায় না পুলিশ। এরপর পুলিশকে তাঁদের মা বাধা দিতে গেলে একজন পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই গুলি চালায়। শহীদ হয়ে যান রােশনি। বন্ধ হয়ে যায় তাদের বােন রাবিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান। এই ঘটনার পর ক্ষোভে প্রতিবাদ জানান গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তল্লাশির নাম করে এলাকার কোদরা গ্র্যান্ট গ্রামে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশের একটি দল। তাঁদের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গুন্ডারা অভিযােগ দায়ের করেছিল যে, স্থানীয় বাসিন্দা উবেদ-উর রহমান গাে-হত্যা করেছে। এই অভিযােগের ভিত্তিতেই মুসলিম পরিবারটির উপর তান্ডব চালায় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সন্ত্রাসীরা।
এভাবেই প্রকাশ্যে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। আস্তে আস্তে মুসলিম গণহত্যা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ধাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। বিশ্লেষকরা তাই মুসলিমদেরকে এখনি সচেতন হতে, এবং নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের ফিকির শুরু করতে তাগিদ দিচ্ছেন। তা নাহলে হয়তো তাদের জন্য রক্তাক্ত এক নিকট ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র :
১।উত্তরপ্রদেশে বিয়ে বাড়িতে গরু জবাইয়ের অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী পুলিশের হামল, গুলি
https://tinyurl.com/42mrs4kz