পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ মে বুরকিনা ফাসোর মাদজোয়ারিতে, দেশটির মুরতাদ সামরিক বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেদিন যুদ্ধের ময়দানে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার থেকে হামলা করতে দেখা যায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, স্থল পথে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াও মুজাহিদগণ সেদিন হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও বোমা হামলার পাশাপাশি রকেট হামলাও চালান। এতে সেনবাহিনীর ২টি গাড়ি এবং ১টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়। আফ্রিকায় মুজাহিদদের এই ধরনের হামলা একেবারেই বিরল!
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্থল ও আকাশ পথের একযোগে পরিচালিত এই অভিযানে বুরকিনান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৯ সৈন্য নিহত হয়েছে। বাকি সৈন্যরা আহত অবস্থায় যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়েছে। একই সাথে মুজাহিদগণ সেনাদের পলায়নের পর ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গাড়ি, ১টি সাঁজোয়া যান, ২টি DSshK, ৪টি PK, ১টি RPG, ২৩টি AKs, ১৬৬টি AK mags, ২টি mortarkmo, ২৮ টি গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স, ১৬টি Pk বারুদ বেল্ট গনিমত পেয়েছেন। এছাড়াও প্রচুর (৩০,০০০,০০০ cfa) নগদ অর্থ পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আল-কায়েদার জন্য বুরকিনা ফাসোতে এটি অনেক বড় একটি বিজয়। কেননা এরমাধ্যমে আল-কায়েদা একদিকে যেমন নিজের সক্ষমতার প্রামাণ দিয়েছে, তেমনিভাবে শত্রুদের অন্তরে ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। কারণ তাঁরাযেনো এই অভিযানের মাধ্যমে এই বার্তাই দিয়েছেন, সামনের যুদ্ধগুলোতে আল-কায়েদা স্থল পথের অভিযানের পাশাপাশি আকাশ পথেও অভিযান চালাবে।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের শেষ দিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মালির রাজধানী বামাকোর একেবারেই নিকটে চলে আসেন, এবং রাজধানীকে প্রায় অবরোধ করে ফলেন। আর তখনই প্রথমবার মালিতে কিছু সময়ের জন্য সামরিক বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন মুজাহিদগণ। তখন এসব ঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করলেও, তা দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেনি।