গতকাল ৬ষ্ঠ দিনের মতো ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। এতে বহু ইথিওপিয়ান ক্রুসেডার সেনা নিহত হয়েছে।
আঞ্চলিক সূত্র মতে, গতকাল ২৫ জুলাই ইথিওপিয়ায় আল-কায়েদার হামলার ৬ষ্ঠ দিন ছিলো। এদিনও ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডের ৭টি এবং ইথিওপিয়া সীমান্তের সোমালিয়ার ৫টি শহরে একযোগে হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। ৬ দিনের তীব্র এই লড়াইয়ে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ এখন পর্যন্ত ইথিওপিয়ান বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ৫টি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
আঞ্চলিক সূত্র মতে, আশ-শাবাব মুজাহিদিন ইথিওপিয়া অভিযানের তৃতীয় দিনেই দেশটির মূল ভূখণ্ডের ১৫০ কি.মি ভিতরে ঢুকে পড়েছেন। যেখানে আশ-শাবাবের প্রথম ২ দিনের হামলাতেই ৬ কমান্ডার ও কর্ণেল সহ ২৫০ এরও বেশি ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়। এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। তৃতীয় দিনের হামলায় আরও ৫ কমান্ডার ও ২ কর্ণেল সহ অসংখ্য ইথিওপিয়ান সৈন্য হতাহত হয়। এদিকে আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রথম দিনের বিকাল বেলায় পরিচালিত হামলা সম্পর্কে জানায় যে, ঐদিনের হামলায় মুজাহিদদের হাতে ৮৭ ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
যাইহোক, গতকাল ২৫ জুলাই ছিলো ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডে আশ-শাবাবের হামলার ৬ষ্ঠ দিন। আঞ্চলিক সূত্র মতে, এদিনও মুজাহিদদের হামলায় শতাধিক ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। বর্তমানে আশ-শাবাব যোদ্ধারা ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডের আরও ভিতরে ঢুকছেন। আশ-শাবাবের অভিযান ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডে যুক্ত ওগাডেন রাজ্যের অধিকাংশ শহরে পুরোপুরিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে ইথিওপিয়া পন্থী কিছু গণমাধ্যম ভূয়া ভিডিও প্রচারের মাধ্যমে দাবি করছে যে, আশ-শাবাব যোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে ইথিওপিয়ান সেনাদের কাছে “আত্মসমর্পণ” এবং অস্ত্র জমা দিচ্ছি। যেসব ভিডিওতে দেখা যায়, জীর্ণশীর্ণ শরীর ও বৃদ্ধ বয়সী কয়েকজন কথিত আত্মসমর্পণকারী সাধারণ লুঙ্গী ও গেঞ্জি গায়ে আত্মসমর্পণ করছে।
অপরদিকে আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ সূত্রগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও ও ফুটেজগুলোতে দেখা যায় যে, আশ-শাবাব যোদ্ধারা এই যুদ্ধে সম্পূর্ণ সামরিক সাজে সজ্জিত হয়ে বীরত্বের সাথে লড়াই করছেন। যাদের সবাই যুবক এবং সবার শরীরে সামরিক পোশাক ও অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্র।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গেছে, আশ-শাবাব যোদ্ধাদের বিজয় অভিযান রুখতে ওগাডেন সীমান্তে নতুন করে আরও ১ হাজার সেনা পাঠিয়েছে ইথিওপিয়া। যেখানে পূর্ব থেকেই মোতায়েন করা আছে ৪ হাজার সেনা। এই বাহিনীর সাথে আছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক ও ভারী সব অস্ত্র।
স্থানীয়দের মতে, ইথিওপিয়ার এই বিশাল বাহিনীর বিপরীতে যুদ্ধের জন্য নতুন করে সোমালিয়ার সীমান্ত পার হয়েছে প্রায় ২০০ আশ-শাবাব যোদ্ধাকে।
উল্লেখ্য যে, ইথিওপিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত ওগাডেন রাজ্য অতীতে বৃহত্তর সোমালিয়ার অংশ ছিলো। বর্তমানে এটিকে ৩টি পৃথক রাজ্যে ভাগ করেছে ইথিওপিয়া। আর এই রাজ্যগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা সোমালিয়ার মূল ভূখণ্ডকে বিভক্ত করার লক্ষ্যে খৃষ্টান প্রধান দেশ ইথিওপিয়ার কাছে হস্তান্তর করে।
অতীতে বৃহত্তর সোমালিয়ার ম্যাপ
আশ-শাবাবের সাম্প্রতিক এই অভিযানের ফলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আশ-শাবাব পূণরায় উপরোক্ত রাজ্যগুলোকে সোমালিয়ার মূল ভূখণ্ডে যুক্ত করার অভিপ্রায় নিয়ে লড়াই করছে। সেই সাথে সোমালিয়ায় ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার পর যেনো ২০০৬ এর যুদ্ধের পূণরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য আগেই ইথিওপিয়াকে দূর্বল এবং নিজ ভূখন্ডে ব্যস্ত রাখতে চায় আশ-শাবাব।
এদিকে আশ-শাবাব যোদ্ধাদের দ্বারা হামলার শিকার ইথিওপিয়ার এলাকাগুলি বৃহত্তর সোমালিয়ার অংশ হওয়ায়, সাধারণ সোমালি জনগণও ইথিওপিয়ার সীমানার মধ্যে আশ-শাবাবের এই আক্রমণকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিচ্ছে।
সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি আফ্রিকান ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরার অবস্থা। পূর্ব আফ্রিকা ঘিরে তাদের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত যে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে, নতুন উদ্ভুত পরিস্থিতি পৃথিবীবাসির সামনে সেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকগণ।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Alhamdulillalh very good news brother. Tagut Media is silent.
الحمد لله
সোমালিয়ার এই বিজয় প্রত্যক্ষভাবে দেকার জন্য আমার হৃদয় ব্যকুল হয়ে আছে,
allah theker tawfik dan korun
অচিরেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে আরেকটি ইসলামী ইমারা বিইজনিল্লাহ.