অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিন শহরে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সেনারা সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে। গত ১৯ জুন সোমবারের ঐ হামলায় এতে এক শিশুসহ ৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে যে, গত ১৯ জুন সোমবার সকালে জেনিন ক্যাম্পে শুরু হওয়া ইহুদি সেনাদের হামলা পরদিন ২০ জুনেও অব্যাহত ছিল। জেনিন অভিযানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ইহুদি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরে ফজরের সময় ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে এবং প্রচুর গুলিবর্ষণ করে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাকে তুলে নেয়ার জন্য চেষ্ঠা চালায় তারা। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এ সময় পাথর নিক্ষেপ করে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে তা সংঘাতে রুপ নেয়। ইসরাইলি বাহিনী এ সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি শুরু করে।
For the first time since 2000, lsraeli occupation forces uses warplanes during a mass raid on Jenin. pic.twitter.com/trRm5ofz5t
— TIMES OF GAZA (@Timesofgaza) June 19, 2023
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক শিশুসহ ৫ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় লাইভ বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন আরও ৯১ জন, যার মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা নিউজ এজেন্সি আবু রুদেনাহকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, বর্তমান এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলি এই উন্মাদনা বন্ধ করতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে হবে। শুধু নিন্দা বিবৃতি আর আন্তর্জাতিক নীরবতা দখলদার সরকারকে তার অপরাধ চালিয়ে যেতে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি এবং তাদের পবিত্রতার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা করতে উৎসাহিত করে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ধ্বংস করেছে বলেও জানা গেছে। এতে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৬ সেনা আহত হয়েছে। ঐ হামলার পরপরই হামলাকারী ইসরাইলি সেনারা সাময়িকভাবে পিছু হটে। এর পরেই হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক মুসলিমদের উপর নির্বিচারে হামলা শুরু করে তারা।
আরো নিত্য নতুন সংবাদ চাই