
وَ اذۡكُرُوۡۤا اِذۡ اَنۡتُمۡ قَلِیۡلٌ مُّسۡتَضۡعَفُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ تَخَافُوۡنَ اَنۡ یَّتَخَطَّفَكُمُ النَّاسُ فَاٰوٰىكُمۡ وَ اَیَّدَكُمۡ بِنَصۡرِهٖ وَ رَزَقَكُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُوۡنَ ﴿۲۶﴾
“স্মরণ করো সে সময়ের কথা, যখন তোমরা পৃথিবীতে সংখ্যায় ছিলে অল্প, জামিনে তোমাদেরকে দুর্বল মনে করা হত। তোমরা আশঙ্কা করতে যে, লোকেরা তোমাদেরকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ তাআ’লা তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন, নিজ সাহায্য দ্বারা তোমাদেরকে শক্তিশালী করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম সব রিযিক দান করেছেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।” (সূরা আল-আনফাল, ২৬)
মাসের মধ্য রজনীতে তারা ভরা আকাশে উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ সহ একটি পরিষ্কার রাত কল্পনা করুন। সেই রাতে যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে চাঁদের দিকে তাকান, তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন না যে চাঁদ একটি কক্ষপথে ঘুরছে। কিন্তু, আপনি যদি প্রথমে রাতের শুরুতে এবং তারপর রাতের শেষের দিকে সেই চাঁদের দিকে তাকান, তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন যে, চাঁদ রাতের অন্ধকারে অনেক দূর ভ্রমণ করেছে। যা আপনি প্রথমবার তাকানোতে লক্ষ্য করতে পারেন নি।
আমরা আজ এক ঐতিহাসিক সময়কাল অতিক্রম করছি, যা দেখে আপনি ভাবতে পারেন এসময় হয়তো পরিবর্তন হবেনা। অথচ এই সময় ও ইতিহাস সর্বশক্তিমান ও মহিমান্বিত আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবাহিত হতে থাকে। ঠিক আকাশের চাঁদের মতো, যা আমরা প্রথম দেখাতে বুঝতে পারি না।
কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআ’লা মানুষের মধ্যে ইতিহাসের দিনগুলি আবর্তন করেন। তিনি কখনও এক জাতির, কখনও অন্য জাতির শক্তি ও পরাক্রম ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেন। আর এটিই মহান আল্লাহর ফয়সালা এবং তাঁর বান্দাদের জন্য পরীক্ষা। আল্লাহ তাআ’লা মানুষকে কখনও ক্ষমতা ও সম্মানের পরীক্ষায় পতিত করেন, আবার কখনও অসহায়ত্ব ও অপমানের পরীক্ষায় পতিত করেন।
যদি কোন জাতি কেবল তার সংকীর্ণ ঐতিহাসিক সময়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, গতকাল ও আজ এই দুইকে দিয়ে ভবিষ্যতের হিসাব করে, তাহলে সে ইতিহাসে তার অবস্থানকে সুস্থভাবে উপলব্ধি করতে পারবে না। কেননা জাতির ক্ষমতা ও শক্তির সময় যেমন ক্ষণস্থায়ী, তেমনি তাদের দুর্বলতা ও অপমানের সময়ও ক্ষণস্থায়ী। আমরা এটিকে একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং অসুস্থতার সময়ের সাথে তুলনা করতে পারি। যখন একজন মানুষ সুস্থ থাকে, তখন সে কখনও ভাবে না যে সে অসুস্থ হবে; বা এটা সে কখনও কোনও অসুস্থতায় ভুগেনি। আবার যখন সে অসুস্থ হয়, তখন তার অবস্থা এমন হয়ে যায়, যেন সে জীবনে কখনও সুস্থতা ও সুস্থতার স্বাদ পায়নি আর এই অসুস্থতা তাকে সর্বদা পরীক্ষাতেই ফেলছে। এরপর যখন সে সুস্থ হয়ে ওঠে, তখন সে আবারো এই অবস্থার কথা ভুলে যায়। তবে, মানব জীবন এমন একটি অভিযান যা স্বাস্থ্য ও রোগ, শক্তি ও দুর্বলতার মধ্যে বারবার ঘুরে বেড়ায়।
হে প্রিয় উম্মাহ! আশাহত হবেন না।
আমরা যখন এই আর্টিকেল টা লিখছি, তখন আমরা ১৪৪৬ হিজরির পবিত্র রমাদান মাসে অবস্থান করছি এবং এই মাসের তৃতীয় শুক্রবার অতিবাহিত করেছি। আমরা একত্ববাদে বিশ্বাসী রাসূল মুহাম্মদ ﷺ এর উম্মাহ, আমরা সেই রাসূল (ﷺ) এর জিহাদ ও সংগ্রামের উত্তরাধিকারী শেষ উম্মত। আমরা ১৪ শতাব্দী ধরে এই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। আমাদের আগেও আদম (আঃ) এর সময়কাল পর্যন্ত একত্ববাদে বিশ্বাসী বিভিন্ন জাতি এই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তারা সকলেই এসেছিল এবং চলে গেছে। থেকে গেছে একত্ববাদে বিশ্বাসীদের সংগ্রাম।
আমরা মুহাম্মদ (ﷺ) এর উম্মতরা দীর্ঘ ১৪ শতাব্দীর সংগ্রামে উত্থান-পতন, জয়-পরাজয়, ন্যায়-অন্যায় প্রত্যক্ষ করেছি। কখনও কখনও আমরা পৃথিবীতে ক্ষমতা ও শক্তি অর্জন করেছি, আবার কখনও কখনও আমরা অল্প সংখ্যক এবং অসহায় হয়ে পড়েছি। তবে, ইতিহাস সর্বদা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নির্ধারিত পথেই চলতে থাকে এবং পৃথিবী সর্বদা অপেক্ষায় থাকে কখন সর্বশক্তিমান আল্লাহর ধার্মিক বান্দারা তার উত্তরাধিকার বুঝে নিবেন। কেননা এটি আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি।
যদিও আমরা যোদ্ধা নবীর উম্মত, গত কয়েক শতাব্দী ধরে বড় বড় দুর্যোগ ও ক্লেশের সম্মুখীন হয়েছি। তথাপি এই উম্মতের মধ্যে কল্যাণ কখনও শেষ হয়ে যায়নি। সকল ধরণের দুঃখ ও কষ্ট সত্ত্বেও, মুসলিম উম্মাহ সর্বদা কাফের হানাদার এবং তাদের মুশরিক বন্ধুদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ইসলামী ভূমি কখনোই জিহাদ, সংগ্রাম বা শহীদদের মিছিল থেকে খালি ছিল না। এই উম্মাহর মধ্যে শামিলদের অবসান হলে, আল্লাহ তাআ’লার সাহায্যে ওমর মুখতাররা নতুন করে সূচনা করেন। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানদের স্থলাভিষিক্ত হন মোল্লা ওমর ও ওসামারা, সেই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে।
এই মুসলিম বীরদের নেতৃত্বে বসনিয়া, আলজেরিয়া, সোমারিয়া, মালি, বুরকিনা ফাসো, মরক্কো, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং ইরাকের মতো অনেক জিহাদি ভূমির উত্থান ঘটে। তুর্কিয়ে থেকে ফিলিপাইন, মরক্কো থেকে তুর্কিস্তান, কেম্যারোন থেকে তাতারিস্তান, ইসলামী বিশ্বের এই প্রতিটি কোণা হাজার হাজার মুজাহিদিনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
হ্যাঁ, এই সংগ্রামের পথে আমরা যেই কষ্ট এবং সংকটের সম্মুখীন হই তা কখনও কখনও আমাদের হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের মুসলিম ভাই, বিশেষ করে তরুণদের বলবো, এই লাইনগুলো পড়ার সময় একটু থামুন এবং চিন্তা করুন। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন তো: চাঁদ কতদূর ভ্রমণ করেছে? সত্য তো এটাই যে, সেই চাঁদ তার লক্ষপানে আজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে।
সামন্য পথ গেলেই বিজয়
– আজ থেকে ১৫০ বছর আগে যখন ফ্রান্স আলজেরিয়া আক্রমণ করেছিল, তখন তারা একটি সম্পূর্ণ জাতিকে ধ্বংস করে দিতে এবং হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল।
– ১৯৪৮ সালে, ইসরায়েল কোনও প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়েই ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল।
– আসাদ সরকার ১৯৮২ সালে সহজেই শামের হামা অঞ্চলে মুসলিম গণহত্যা ও শহরটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল।
– রাশিয়ানরা ককেশাসকে এবং চীন তুর্কিস্তানকে উল্টে দিচ্ছিল, কিন্তু সেসময় একটি আওয়াজ, এমনকি একটি আপত্তিও শোনা যাচ্ছিল না।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এই বর্বরতার সময় পুরো বিশ্ব নিরব ছিলো। কোনো রাষ্ট্র তখন সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যাকারী ও নারীদের অধিকার হরণের স্লোগান নিয়ে মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসে নি। তখন মুসলমানরা সম্পূর্ণ অসহায়, দরিদ্র এবং নিঃস্ব অবস্থায় ছিল, যেখানে যে কেউ ইচ্ছা করলেই মুসলিমদের জমি দখল করে নিতে পারত।
আসুন আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে একবার নজর দেই। তাহলে আমরা দেখতে পাবো আফগানিস্তান থেকে শাম, পূর্ব আফ্রিকা থেকে পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত, আজ লক্ষ লক্ষ প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র মুজাহিদিন মুসলমানদের ভূমি, সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রস্তুত।
আজ যখন ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয়রা আফ্রিকার মুসলমানদের ভূমিগুলো আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তখন তারা কালো মুক্তারদানার মতো সেখানকার মুজাহিদদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে। যেই মুজাহিদিনরা প্রতিটি আঘাতের বিপরীতে প্রতিঘাতের জন্ম দিচ্ছেন। মুজাহিদিনরা সামরিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে আগ্রাসী শত্রু বাহিনী ও তাদের তাবেদার স্থানীয় মিলিশিয়াদের দুর্বল করে দিচ্ছেন। সেই সাথে ইসলামী শরিয়াহ দ্বারা শাসিত অঞ্চলের পরিধি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছেন।
বিশ্বের সকল পরাশক্তিধর রাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহায়তা ও সমর্থন আজ ইসরায়েলের পক্ষে, তবুও এই জায়োনিস্টরা গাজার অবরুদ্ধ মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের পরাজিত করতে এবং মুজাহিদদের কাছে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার করতে ব্যার্থ।
আজ পশ্চিম আফ্রিকার ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনদের দিকে দেখুন, তারা একযোগে কয়েকটি ফ্রন্টে ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে ফ্রান্স সহ পশ্চিমা দেশগুলো একাধিক ফ্রন্ট থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। মুজাহিদিনরা মালি ও বুরকিনা ফাসোর রাজধানীকে ধীরে ধীরে ঘিরে ধরছেন। সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছেন।
আজ পূর্ব আফ্রিকার দিকে দেখুন, হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদিনরা বীরত্বের ইতিহাস রচনা করছেন। বিজয়ের মাস পবিত্র এই রমাদানে তারা একেরপর এক শহর ও ঘাঁটি বিজয় করছেন। প্রাদেশিক রাজধানী ও কৌশলগত শহরগুলো অবরোধ করছেন, মুজাহিদিনরা রাজধানী মোগাদিশুর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। ফলে পশ্চিমারা দেশটিতে অবস্থিত তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করছে, সোমালিয়ায় জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির মাধ্যমে আমেরিকানদেরকে সব ধরনের ভ্রমণ পরিহার করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে, এমনকি রাজধানী ও সামরিক অবস্থান সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সর্বাত্মকভাবে এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো মোগাদিশুতে আসা এবং যাওয়া তাদের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে।
পরাজয় যখন সুনিশ্চিত, মোগাদিশু সরকার তখন ইথিওপিয়ার কাছে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করেছে। কিন্তু ইথিওপিয়া তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেশটিতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছে। ফলে জায়োনিস্ট ইসরায়েল এই যুদ্ধে ইথিওপিয়ার মনোবল বৃদ্ধি করতে ঘোষণা করছে যে, তারা ইথিওপিয়ার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাবাবের এই বিজয় যাত্রা প্রতিহত করবে।
হ্যাঁ, আজও আমরা অনেক সমস্যা ও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি, আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। কিন্তু আমরা মনে করি, প্রতিটি বিবেকবান মুসলিম বুঝতে পারবেন যে, আজ তিমিররাত্রি পেড়িয়ে আমরা কতদূর এগিয়ে এসেছি। আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় মুজাহিদদের বিজয় অর্জন তা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এই বিজয় ও যুদ্ধগুলো কোনো সামান্য ব্যাপার ছিলো না।
আজ মুজাহিদিনরা গাজায় দখলদার ইহুদি এবং তাদের ক্রুসেডার সমর্থকদের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই করছেন, রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে এবং গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, পাড়া-মহল্লায়, স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও নিষ্ঠাবান মুসলিম যুবকরা শরিয়ার কথা বলছেন। উপমহাদেশের মুসলিমরা হিন্দুবাদী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। বিদ্যমান সমস্যা দূরীকরণে তারা শরিয়াহ্’কে একমাত্র সমাধান হিসাবে দেখছেন।
নিষ্ঠাবান মুসলিমরা দিল্লির লাল কেল্লা ও কুতুব মিনারে আবারও ইসলামের বিজয়ী পতাকা উড্ডীনের স্বপ্ন দেখছেন। এই যুবকদের চোখ ও হৃদয় জেরুজালেম, মক্কা এবং মদিনার দিকে নিবদ্ধ। তারা আল্লাহর সত্য দ্বীন এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর সরল পথে চলার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এটা কখনোই খুব ছোট ব্যাপার নয় যে, আজ মুসলিমরা বিশ্বব্যাপী ক্রুসেডার-ইহুদিবাদী ব্যবস্থার ধ্বংস করতে চান। তারা ইসলামের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবন-ব্যাবস্থা নির্মাণের কথা বলেন এবং এর জন্য তারা ছোট-বড় প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সাধারণ জনগণকে এই দাবির সাথে ঐক্যবদ্ধ করছেন।
মহান আল্লাহর অনুগ্রহে, আজ আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে যুবকরা বাস্তব কাজ করছে ও করার চেষ্টা করছে। তারা সত্য-মিথ্যাকে আলাদা করতে পারছে। আর তাদের এই পদক্ষেপগুলো আজ বিশ্বে বাস্তবসম্মত ফলাফল এনে দিচ্ছে, যা গত কয়েক শতাব্দী ধরে আমাদের উপর ঝুলন্ত অপমানের পর্দা তুলে দিতে শুরু করেছে এবং ইসলামী উম্মাহ জেগে উঠতে শুরু করেছে।
আমরা এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে, আমরা যদি কঠোর পরিশ্রম করি এবং অধ্যবসায়ে লেগে থাকি, তাহলে আমাদের জন্য বিজয় ও সম্মানের দরজা খুলে যাবে। আজ আমরা সেই বিজয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি, যা সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআ’লা তার মুমিন বান্দাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। নিঃসন্দেহে, বিজয়ের পথে আমাদের এই প্রচেষ্টা ৫০ বছর বা ১০০ বছর স্থায়ী হলেও, ইতিহাসের ধারায় এটি খুবই ছোট একটি সময়কাল। আমাদের কর্তব্য হল যারা আমাদের আশা নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাদের কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যাওয়া।
এই উম্মাহ হচ্ছে পরিচ্ছন্ন আকাশে ঘূর্ণায়মান সেই চাঁদের মতো, যাকে রাতের প্রথম প্রহরে দেখে মনে হয় একই স্থানে স্থির রয়েছে। কিন্তু রাতের শেষ প্রহরে তাকে দেখলে বুঝা যায়, সে আমাদের চোখের আড়ালেই রাতের অন্ধকারে অনেক দূর অতিক্রম করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।
আল্লাহ উম্মাহ’র মুজাহিদিনদের কবুল করুন। সাথে আমাদেরও শরিক করুন