
‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো-একবারে টানি ছিঁড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো! খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাক, চেনো বিএনপিকে? তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানায় যায়া ওখানে লিখবো, উয়াকে অ্যারেস্ট করি দিয়ো তারপরে আমি আসবো।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানের এসব কথার ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক রুবেল মিয়াকে উদ্দেশ্য করে সে এসব কথা বলেছে বলে জানা গেছে। হুমকির পাশাপাশি মারধরেরও অভিযোগ করেছে রুবেল মিয়া।
রুবেল মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চান্দামারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান তিনজনের নাম প্রস্তাব করে।
তারা হলেন, রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম। এই তালিকার বিপরীতে আমি রাজারহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। এ নিয়ে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানা মোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে পাশের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়ি। সেখানে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন ও গালিগালাজ করে।
তথ্যসূত্র:
১. ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিক’
– https://tinyurl.com/4jes3vuk