
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইয়াসিন মৃধা (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, নিহত ইয়াসিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তিনি রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়।
তাদের মধ্যে ইয়াসিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইয়াসিন মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার ছেলে তো রাজনীতি করে না, মাদরাসায় পড়ে। ওরে কেন মারলো? ওর কোনো শত্রু ছিল না। যারা আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
তথ্যসূত্র:
১.ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কিশোর ইয়াসিন মৃধার মৃত্যু
-https://tinyurl.com/y35c4kma