ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ১ জন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ ও ২ জন ইনগিমাসী মুজাহিদ যৌথ অভিযান চালিয়েছেন মুরতাদ কাবুল প্রশাসনের একটি সামরিক সেন্টারে। এতে ৭৪ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ(হা.) জানান, ১ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় আফগানিস্তানের পাকতিয়ার প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী গার্দিজে কাবুল প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সামরিক সেন্টারে বরকতময়ী একটি সফল অভিযান চালানো হয়েছে।
আক্রমণের শুরুতে ইস্তেহাদি মুজাহিদ (মোল্লা আজিজ আহমদ) বোমাভর্তি হাম্বি গাড়ি নিয়ে সামরিক সেন্টারে বড়ধরণের সফল বিস্ফোরণ ঘটান। যার ফলে কমান্ডো সেন্টার ভবনের অনেকাংশই ধ্বংস হয়ে যায়। হতাহত হয় অনেক কমান্ডো।
প্রথম বিস্ফোরণের পর, বাহিরে অপেক্ষারত মোল্লা আতাউল্লাহ ও মোল্লা ইসমাতুল্লাহ নামক বাকি দু’জন মুজাহিদ হালকা ও ভারী অস্ত্র, বিস্ফোরক ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে কমান্ডো সেন্টারে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা দু’জন বাকি সৈন্যদের টার্গেট করে করে হত্যা করতে থাকেন। প্রায় আড়াই ঘন্টা যাবৎ তাঁরা দু’জন কমান্ডো সেন্টারের ভিতরের মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই পরিচালনা করেন।
তিনি আরো জানান যে, মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানে কাবুল বাহিনীর ৭৪ এরও বেশি কমান্ডো নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো কয়েক ডজন মুরতাদ সৈন্য। ধ্বংস করা হয়েছে কমান্ডো বাহিনীর অনেক গাড়ি, সামরিকযান, যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি।
২৫০ কমান্ডো সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত এই কমান্ডো সেন্টারটি হতে পাকতিয়া, লোগার ও গজনিসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে অভিযান চালাতো মুরতাদ বাহিনী। এসকল কমান্ডো সৈন্যদের অধীনে আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে পরিচালিত হতো মুরতাদ বাহিনীর সামরিক কনভয়, স্নাইপার ফোর্স, বোমারো বাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সামরিক বাহিনী। যারা নৃশংসভাবে হত্যা করতো সাধারাণ মানুষদেরকে, রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করে হয়রানি করা হত জনসাধারণকে। কিছুদিন পূর্বে এই বাহিনীর অধীনে পরিচালিত বোমারু বাহিনী বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করে একটি মাদ্রাসার ১০ জন হাফেজে কুরআনকে শহীদ করেছিলো।
আর এসকল শহীদদের ও জনসাধারণের সাথে মুরতাদ বাহিনীর অন্যায় আচরণের বদলা নিতেই এই হামলাটি চালানো হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ