ফাইজারের টিকা নেওয়ার ১৬ দিন পর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের একজন চিকিৎসক। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ফাইজার কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গ্রেগরি মাইকেল (৫৬) নামের ওই ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ (গাইনোকলজিস্ট) ফ্লোরিডার মায়ামিতে কর্মরত ছিল।
২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি ফাইজারের করোনা টিকা গ্রহণ করেছিল। তার স্ত্রী হিদি নেকলম্যান ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করে, টিকা নেওয়ার সময় সুস্থ ছিল গ্রেগরি। এমনকি তার কোনো রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক বিশৃঙ্খলাও ছিল না। তবে টিকা নেওয়ার পর তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রোমবোসাইটোপেনিক পারপুরা (আইটিপি) জনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এ সময় তার রক্তে প্লেটিলেটসের ঘাটতিও দেখা দেয়।
হিদি নেকলম্যানের দাবি, এই টিকার কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর পেছনে আর অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে না।
একই সঙ্গে গ্রেগরির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করছে ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ফেডারেল সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
এদিকে গত বুধবার মাইকেলের দেহ থেকে ময়নাতদন্তের সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা এদিনই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সিডিসিতে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর পর্তুগালে এক স্বাস্থ্যকর্মীরও মৃত্যু ঘটেছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছিল, নতুন বছরের প্রথমদিন ঘরে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী সোনিয়া অ্যাকেভেডো। টিকা নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছিল।
দুই সন্তানের মা সোনিয়া পোর্তো শহরের পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অনকোলজিতে শিশুরোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ জন্য শুরুতেই করোনার টিকা নিতে হয় তাকে।
সোনিয়ার বাবা অ্যাবিলিও অ্যাকেভেডো স্থানীয় সংবাদ পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে একেবারে ঠিকঠাক ছিল। তার কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে করোনার টিকা নিয়েছিল। তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। আমি জানি না কী হয়েছে আসলে। আমি শুধু কারণ জানতে চাচ্ছি। আমার মেয়ে কীভাবে মারা গেলে সেটি আমি জানতে চাই।’
পরপর দু’জন টিকা গ্রহণকারী ব্যাক্তির একই কায়দাই মৃত্যুর বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছেন সচেতন মহলকে।
এ ব্যাপারে আরো জানতে পড়তে পারেন…
https://alfirdaws.org/2021/01/05/45736/
https://alfirdaws.org/2020/12/26/45385/
https://alfirdaws.org/2021/01/03/45646/