বেনিনে সামরিক কনভয়ে আল-কায়েদার হামলায় গাড়ি ধ্বংস, নিহত একাধিক

ত্বহা আলী আদনান

1
1344
বেনিনে সামরিক কনভয়ে আল-কায়েদার হামলায় গাড়ি ধ্বংস, নিহত একাধিক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে দেশটির কুফ্ফার সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে একটি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। যাতে ২ সেনা নিহত এবং আরও কতক সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেনিনের উত্তরে অবস্থিত বুরকিনা ফাঁসো সীমান্তের কাছে, দেশটির কুফ্ফার সেনাবাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির আতাকোরা অঞ্চলের পেন্ডজারি জাতীয় উদ্যানের কাছে এই হামলা চালানো হয়েছে। যাতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ধ্বংস হওয়া ছাড়াও অন্তত ২ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত আরও অসংখ্য কুফ্ফার সৈন্য, যারা।

এএফপিকে বেনিন সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, জিহাদীদের(প্রতিরোধ যোদ্ধা) উক্ত হামলায় ২ সেনা নিহত হয়েছে।

এই হামলার এক সপ্তাহ আগে বেনিনের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনের দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জিহাদিদের (ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী) বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি উত্তর বেনিনে দেশটির কুফ্ফার সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরেও দেশটির কুফ্ফার বাহিনীর উপর ৭টি হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদরা। যাতে এক ডজনেরও বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছিল।

বেনিনে সাম্প্রতিক আক্রমণগুলি এমন একটি সময়ে এসে শুরু হয়েছে, যখন আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরতুল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মধ্য আফ্রিকার নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর এবং মধ্য আফ্রিকাসহ সমগ্র অঞ্চল জুড়ে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।

ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই আশা করছেন, ঔপনিবেশিক আমলে যে অঞ্চলগুলোতে পশ্চিমারা জোড় করে খ্রিস্টান বানানোর মিশন চালিয়ে আলাদা খ্রিস্টান রাজ্য বানিয়েছে, সেই মুসলিম ভূমিগুলো এবার একে একে আবার মুসলিমদের হাতেই ফিরে আসবে। আর বেনিনও এমনই একটি খ্রিস্টানায়িত রাষ্ট্র।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুমিনদের হৃদয় শীতলকারী ঐতিহাসিক শার্লি হেবদো হামলার সাত বছর
পরবর্তী নিবন্ধবিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি নিক্ষেপ ও রাশিয়াকে হস্তক্ষেপের আহ্বান কাজাখ সরকারের