২০০৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী। চারদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসছে। কাশ্মীরের শ্রীনগরের একটি কারাকক্ষের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শোনা গেল। কারাকক্ষের ভারী ধাতব দরজা বন্ধ করার শব্দ। কারাকক্ষের এক কোণে ১৮ বছর বয়সী কাশ্মীরি তরুণ গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছেন। তাঁর শরীর নগ্ন; আর্তনাদ করছেন, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তিনি জানতেন, তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
তাঁর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার বিষয়টি তিনি অনুভব করতে পারতেন, তবে নিজ চোখে দেখতে পারতেন না। তিনি বলেছেন, ‘এটা যতটা না যন্ত্রণাদায়ক তার চেয়ে বেশি অপমানজনক। এই অপমান সহ্য করার মতো নয়।’
সেদিন সকাল সকাল তাঁর কক্ষটিতে ৬-৭ জন পুলিশ প্রবেশ করে তাঁকে নগ্ন করলো। এরপর ৫ পুলিশ সদস্য পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করলো। এ ঘটনা অন্যরা তাকিয়ে দেখছিল, অপকর্মের ভিডিও রেকর্ড করছিল; তাদের মুখে ছিল নির্লজ্জ হাসি। এই পাষণ্ডরা তাঁর দিকে থুতু ফেলছিল, তাঁকে গালিগালাজ করছিল।
সেদিনের ১৮ বছরের ছেলেটি আজ ২৭ বছরের যুবক। শ্রীনগর শহরের কেন্দ্রস্থলে তাঁর বাসস্থান। তিনি নিজের সাথে ঘটা এই বর্বরোচিত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষক পুলিশ সদস্যরা চলে যাওয়ার পর আরেক পুলিশ হেঁটে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করে। আমি ভেবেছিলাম সে আমাকে সান্ত্বনা দেবে। কিন্তু সে ছিল আরও বেশি হিংস্র, আরও নিষ্ঠুর। সে আমাকে কারাকক্ষের মাঝখানে টেনে আনে। এরপর প্যান্ট খুলে আমার মাধ্যমে তার তৃষ্ণা মেটায়। আমার এমন অনুভূতি হচ্ছিল যেন দেহের ভেতরে জ্বলে যাচ্ছে। তারপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি। এই লোকটি ছিল আরও নিষ্ঠুর, পাগলা কুকুরের মতো হিংস্র।’
২০০৯ সাল, অমরনাথ ভূমি হস্তান্তর বিতর্কের ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এদিকে, কাশ্মীরে বেসামরিক মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তখন ঘন ঘন বিক্ষোভ করছেন কাশ্মীরি মুসলিমগণ। ২৭ বছর বয়সী যুবক প্রায়ই এসব বিক্ষোভে অংশ নিতেন। ২৫ ফেব্রুয়ারিতেও শ্রীনগরের নৌহাট্টা এলাকার জামিয়া মসজিদের বাহিরে তিনি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। তখন দখলদার পুলিশ বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি মারধরও করে।
এরপর তাঁকে তিন মাস ধরে কারাগারে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কিছু ধরনের মধ্যে আছে—পায়ের উপর দিয়ে রোলার চালানো, বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটানো এবং খাবার-পানি না দিয়ে দিনের পর দিন অনাহারে রাখা। আর সবচেয়ে জঘন্য নির্যাতন হিসেবে তাঁকে দুইবার যৌন নির্যাতন করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বাহিনী। ঐ কাশ্মীরি যুবক বলছেন, যৌন নির্যাতনের ফলে তিনি সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। এমনকি বাড়ি ফিরে আয়নায় নিজেকে দেখাও তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
“যখনই আমি গোসল করতে যেতাম, আমার চোখ বেয়ে পানি ঝরতো। আমি কাঁদতাম।” বলছিলেন ২৭ বছর বয়সী সেই কাশ্মীরি যুবক, “রাত্রিবেলা আমি অনুভব করতাম, আমার সারা শরীরে পোকামাকড় হাঁটছে। প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখতাম, কিছু ভয়ংকর প্রাণী আমাকে যৌন নির্যাতন করছে। আর এ কথা আমি কাউকে বলতে পারছি না।”
তাঁর পরীক্ষা সেখানেই শেষ হয়নি। তিনি বলেন, “আমাকে মুক্তি দেওয়ার আগে পুলিশ বাহিনী আমাকে সতর্ক করেছে, যদি আমাকে আবার বিক্ষোভ করতে দেখা যায়, তবে রেকর্ড করা ভিডিওগুলো তারা জনসম্মুখে প্রকাশ করবে।” এছাড়াও, হিন্দুত্ববাদী পুলিশ কাশ্মীরি যুবককে ব্ল্যাকমেইল করে আরও দুইজন বিক্ষোভকারীর নাম প্রকাশ করতে বাধ্য করেছে।
এভাবে হিন্দুত্ববাদী দখলদার বাহিনী কাশ্মীরে যৌন নির্যাতনকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে জানান মানবাধিকার কর্মীরা। আর পুরুষদেরকে যৌন নির্যাতন করা বিক্ষোভকারীদের শাস্তি প্রদানের একটি উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতীয় দখলদার বাহিনী। এমনকি বিক্ষোভের সাথে সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও কাশ্মীরি তরুণদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিকৃত মস্তিষ্কের হিন্দুত্ববাদী সেনারা। ২০০৪ সালে এমনই একটি পুরুষ-ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায়।
২০০৪ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় আর্মি ক্যাম্পের ভেতরে একটি নির্মাণ কাজে কাজ করার জন্য ভাড়া করা হয় ১৯ বছর বয়সী এক কাশ্মীরিকে। তিনি ছিলেন পাত্তানের বাসিন্দা। কাজ শুরু করার কিছুদিন পর, এক হিন্দুত্ববাদী আর্মি ক্যাপ্টেন তাঁকে ক্যাম্পের ভেতরে আমন্ত্রণ জানায়। আর্মি ক্যাপ্টেন তাঁকে বলে, “আমি তোমাকে পছন্দ করি। তোমার সাথে কথা বলার চিন্তাই আমি করছিলাম।”
কিছুক্ষণ পর অপরিচিত আরেক কাশ্মীরি লোক ক্যাপ্টেনের অফিসে প্রবেশ করে। ক্যাপ্টেন এবং আগত কাশ্মীরি লোক ঐ তরুণ কাশ্মীরিকে সোফায় বসতে বলে এবং তাঁর সাথে যৌন আচরণ করতে শুরু করে। এরপর তারা তাঁকে অফিস সংলগ্ন নতুন আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং অ্যালকোহল পান করতে বাধ্য করে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া ঐ কাশ্মীরি বলেন, “তারা বলেছিল, এটা পান করলে তুমি সবকিছু ভুলে যাবে। এটা পান করার পর আমার মাথা ঘুরাচ্ছিল। এ অবস্থায় তারা আমাকে নগ্ন করে। তখন আর্মি অফিসার তার প্যান্ট খুলে আমাকে যৌন নির্যাতন করতে শুরু করে। সেই ভয়ানক ব্যাথা আমার এখনও মনে পড়ে। সে আমাকে ধর্ষণ করেছিল। পালাক্রমে আগত সেই অপরিচিত কাশ্মীরি লোকটিও আমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা আমাকে অফিস থেকে বের করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনা দিনের পর দিন আমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছিল, বমি বমি ভাব হচ্ছিল। আমি ঘুমাতে পারছিলাম না, চোখ বন্ধ করলেই সেই দৃশ্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিত।”
“কয়েক সপ্তাহ পর সেই আর্মি অফিসার আবার আমাকে তার অফিসে ডাকলো।” বলছিলেন ভুক্তভোগী কাশ্মীরি যুবক, “আমি তার আহ্বান প্রত্যাখান করতে পারিনি। কারণ আমার ভয় হচ্ছিল- সে আমাকে মেরে ফেলতে পারে বা তার চেয়ে ভয়ানক কিছু করতে পারে।” আর্মি অফিসারের কাছে যাওয়ার পর তাকে প্রথমে শান্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী দেখাচ্ছিল। আর্মি অফিসার বলেছিল, “আমি দুঃখিত।” ভুক্তভোগী কাশ্মীরি তরুণ ভেবেছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ করার কারণে হয়তো ঐ আর্মি অফিসার এখন ক্ষমা চাচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই আর্মি অফিসার যা বললো, তা ভুক্তভোগী কাশ্মীরি যুবকের জীবনকে পরিবর্তন করে দেয়।
“আমি সেদিন কনডম ব্যবহার করিনি। আমি এইচআইভি পজিটিভ।” ঐ আর্মি অফিসার তাঁকে বললো, “আমার মনে হয় তুমিও এইচআইভিতে আক্রান্ত হতে পারো।” এরপর হিন্দুত্ববাদী ঐ আর্মি অফিসার কাশ্মীরি যুবককে চেকআপ করার জন্য একটি আর্মি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চেকআপের পর ডাক্তাররা সবচেয়ে খারাপ সংবাদটি শোনায়—কাশ্মীরি যুবক এইচআইভি পজিটিভ। আর্মি অফিসার তাঁকে কিছু অর্থ দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ভুলে যেতে বলে। “কোনো কিছু প্রকাশ করলে অফিসার আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল।” বলেন ভুক্তভোগী কাশ্মীরি যুবক।
এমনিতে লজ্জার কারণে এই কথা তিনি কাউকে বলতেই পারেননি। তিনি বলেন, “আমি এই ব্যাপারে কারো সাথেই কিছু বলতে পারিনি। যদি আমি কাউকে বলি যে, আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তবে তারা আমাকে নিয়ে উপহাস করবে, গালাগাল করবে। এমনকি এই কথা আমি আমার স্ত্রীর সাথেও বলিনি। কাউকে বিশ্বাস করার মতো ছিল না। কোথাও চিকিৎসা সাহায্য চাওয়ার উপায় ছিল না, কারণ এটা সন্দেহ জাগিয়ে তুলতো।”
ভুক্তভোগী কাশ্মীরি যুবক ধর্ষণের শিকার হওয়ার কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছেন। ছয় মাস পর তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। ভয়ানক ব্যাপার হলো, ডাক্তার বলেছে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান—উভয়ই এইচআইভি পজিটিভ।
এরপর কাশ্মীরি যুবক তাঁর স্ত্রীকে সব বলতে বাধ্য হন। তিনি নিজেও এইচআইভি পজিটিভ এবং হিন্দুত্ববাদী আর্মি ক্যাপ্টেনের ধর্ষণের কারণেই এমন হয়েছে—সবকিছুই বলেন স্ত্রীকে। “কিন্তু মাসের পর মাস আমার স্ত্রী আমাকে অবিশ্বাস করেছে। সে আমার যৌনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সে ভাবতো, আমি পুরুষদের সাথে বিছানা শেয়ার করি।”
এক বছর পর তাঁর সন্তান মারা যায়। “আমার সন্তান আমার কারণেই মারা গেছে। আমার স্ত্রী মুমূর্ষু আমারই কারণে। আর আমি তো সেদিনই মারা গেছি, যেদিন আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।” বলেন ভুক্তভোগী কাশ্মীরি যুবক।
১৯৮৯ সাল থেকে যখন কাশ্মীরি মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদী দখলদারদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠতে থাকেন, তখন থেকেই যৌন নির্যাতনকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ভারতীয় বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর সুশীল সমাজ জোট নামক একটি সংস্থার অনুসন্ধানী রিপোর্টে এমন যৌন নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতনের বেশকিছু ধরনের বিবরণ এসেছে। যেমন: বন্দীর যৌনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, মলদ্বারে লোহা ও স্টিলের রড ঢুকানো।
১৯৯১ সালের একটি ঘটনায়, বন্দীর যৌনাঙ্গে কাপড় মুড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং এর ফলে সে স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অনেকক্ষেত্রে এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, মাঝে মাঝে মারাও যায়।
জেকেসিসিএসের রিপোর্টে আরেকটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৭শে অক্টোবর ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১১ জন বালককে গ্রেফতার করে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। তাদের অপরাধ, তারা নাকি দখলদার বাহিনীর উপর পাথর ছুঁড়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থলের এক পুলিশ স্টেশনে তাদেরকে দুই দিন ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
“জেলের ভেতর নিতে না নিতেই স্টেশন হাউজ অফিসার এবং পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট তাদেরকে নগ্ন হতে বলে।” ঐ বালকদের আইনজীবী বশির সিদ্দিকি জেকেসিসিএসকে বলেন, “তারপর পুলিশ বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদেরকে পেটাতে থাকে। এতে ছেলেগুলো আহত হয় এবং তাদের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে। এরপরও এসএইচও এবং ডিএসপি তাদেরকে বাধ্য করে একে-অপরের সাথে সমকামিতা করতে। যে এই সমকামিতা করতে অস্বীকার করে, তাকে নির্মমভাবে পেটায় ঐ হিন্দুত্ববাদী পাষণ্ড পুলিশরা। ভয় পেয়ে ছেলেগুলো পুলিশের আদেশ মানতে বাধ্য হয়। ছেলেগুলোর মতে, পুলিশ তখন হাসছিল এবং মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে পিকচার তুলছিল, ভিডিও করছিল।
ছেলেগুলো মুক্তি পেয়ে নির্যাতনের আদেশদানকারী হিন্দু পুলিশ অফিসার অশোক গুপ্তের বিরুদ্ধে মামলা করলেও, কিছুদিন পর সেই মামলা বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান আইনজীবী সিদ্দিকি।
হিন্দুত্ববাদী দখলদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া কাশ্মীরি শিশু-কিশোর-তরুণরা এসব অপরাধের ন্যায় বিচার চান। কিন্তু তারা বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। তারা মনে করেন, আদালত হিন্দুত্ববাদী দখলদার বাহিনীকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে সক্ষম নয়। ভুক্তভোগীদের একজন বলেছেন, “কত মানুষকে কাশ্মীরে খুন করা হচ্ছে, গুলির আঘাতে কত মানুষ অন্ধ হয়েছে, এসব অপরাধ করে কেউ কি কখনও শাস্তি পেয়েছে? না, পায়নি।”
কাশ্মীরের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে এমন নির্যাতন করে আসলেও হিন্দুত্ববাদী দখলদার ভারতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। আসলে এরা সবাই একই সুতোয় গাঁথা। সবার হাতই মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত। তাই বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম ও ইসলামি চিন্তাবিদগণের আহ্বানে সারা দিয়ে কাশ্মীরি মুসলিমরা তাই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হিসেবে তাওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। নববী মানহাজ অনুসরণ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তাঁরা।
এখন তাই বিশ্ববাসির উচিৎ কাশ্মীরি মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে তাদের কথা বেশি বেশি বলা, হিন্দুত্ববাদী ভারতের জুলুম-নির্যাতনের কাহিনী বেশি বেশি প্রচার করা এবং হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে ও কাশ্মীরি মুসলিমদের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।
মূল লেখক: কাদরি ইনজামাম ও হাজিক কাদরি
অনুবাদক : সাইফুল ইসলাম
হে আল্লাহ ওহে আরশের অধিপতি!
তুমি এই মালাউনদের পাওনা বুঝিয়ে দাও
Oh Allah save us
এখন আমাদের কাজ শুধু একটাই এই হিন্দুত্ববাদী ভারতে জিহাদের ঝান্ডা উঁচু করা এবং শুধু কাশ্নীরেই নই বরং পুরো ভারতে এই মালাউনরা মুসলমানদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং করছে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া।
হায় আল্লাহ জীবনের প্রথম পুরুষ নির্যাতনের এই করুণ কাহিনী করলাম আজ আমি যদি হতাম সেই নির্যাতনের শিকার আমার কাছে কেমন লাগতো হায় আল্লাহ ভাইদেরকে তুমি উত্তম বদলা দান করুক তাদের দুনিয়ার কষ্টের বিনিময় তুমি তাদের প্রতি রাজি হয়ে যাও এবং তোমার জেহাদের মানুষ তাদেরকে আঁকড়ে ধরার তৌফিক দাও আমাদের কেউ শামিল হওয়ার তৌফিক দাও আমিন
গরুর মূতখোরদের কাছ থেকে কি এর থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়। এই বিকৃত কাজের চিন্তা তো দূরের কথা স্বপ্নেও তো দেখি নাই। একদিন সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
Allah tumi a nirjatoner birudde ruuke darabar toufik dau.
Inshallah