পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে একযুগেরও বেশি সময় ধরে দাওয়াহ ও জিহাদের বরকতময় ময়দানে কাজ করছেন মুজাহিদগণ। মহান রব্বুল আলামিনের সাহায্যে বিজয় ও জনসমর্থনের মাধ্যমে সফলতার পথেও অনেকদূর এগিয়েছেন মুজাহিদিন তথা ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। কিন্তু বর্তমানে ইসলামের এই বিজয়যাত্রাকে থামিয়ে দিতে রাশিয়ার পাশাপাশি তুরস্কও এই যুদ্ধে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো পশ্চিম আফ্রিকাতেও ইসলামবিরোধী সরকারগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে তুরস্ক। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নতুন করে আরও একবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীর জন্য সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে সেক্যুলার এই দেশটি।
জানা গেছে যে, এবার তুরস্ক থেকে ৩টি Bayraktar TB2 এবং ২টি Akıncı সশস্ত্র চালকবিহীন আকাশযান বুরকিনা ফাসো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে তুরস্ক। মনুষ্যবিহীন বায়বীয় যান ছাড়াও, রোকেটসান দ্বারা উৎপাদিত TEBER, MAM-L, MAM-T গোলাবারুদ এবং ASELSAN দ্বারা তৈরি HGK অস্ত্রও জান্তা প্রশাসনের কাছে পৌঁছিয়েছে তুরস্ক।
তুর্কি Bayraktar কোম্পানির সিইও, বুরকিনা ফাসোতে TB2 এবং Akıncı (HALE) সশস্ত্র ড্রোনের নতুন চালানের কিছু ছবি শেয়ার করে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তার দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো বুরকিনা ফাসোর জান্তা প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত ও শক্তিশালী করতে তুরস্ক থেকে সামরিক সহায়তার নতুন এই চালান পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বুরকিনা ফাসোর জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করে আসছে যে, এই অঞ্চলে জান্তার হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন নিরিহ বেসামরিক জনগণ। আর এসব হামলায় তুরস্কের ড্রোনগুলোও ব্যবহার করছে জান্তা বাহিনী। এমন অভিযোগের পরেও তুরস্ক জান্তা বাহিনীকে এসব বিধ্বংসী ড্রোন ও অস্ত্র দিচ্ছে, আর দাবি করছে এর মাধ্যমে জান্তা বাহিনী বেসামরিকদের রক্ষা করবে।