
ইমারতে ইসলামিয়ায় আরও ৭০০ তরুণ সেনা সফলভাবে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে নিয়মিত বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৭ মার্চ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এই সদস্যরা তিন মাসব্যাপী নিবিড় সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এই প্রশিক্ষণে শরিয়াহ কোর্স, নবীজির (ﷺ) সিরাত, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পর্বতারোহণ, সামরিক কৌশল, চেকপোস্ট ব্যবস্থাপনা, হালকা ও ভারী অস্ত্র চালনা, আইন, সাক্ষরতা শিক্ষা, সামরিক শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণ সমাপ্ত সেনাদের জন্য আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কারি মুহাম্মদ ফাসিহউদ্দিন ফিতরাত হাফিযাহুল্লাহ, বিশিষ্ট আলেম শাইখুল কুরআন ও হাদিস মুফতি নাজিবুল্লাহ মুনিব হাফিযাহুল্লাহ, শিক্ষা ও কর্মী পরিচালনা দপ্তরের উপ-মহাপরিচালক মাওলানা বাজ মোহাম্মদ হামিদি হাফিযাহুল্লাহ, প্রশিক্ষণ ও ডকট্রিন বিভাগের প্রধান শাইখ দাদ মুহাম্মদ মুহাম্মদি হাফিযাহুল্লাহ, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক দপ্তরের প্রধান মাওলানা সাইয়্যদ আগা আবু মাকবুল আকিফ হাফিযাহুল্লাহ, যুদ্ধকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ কমান্ডার মাওলানা নসীবুল্লাহ মাদানি হাফিযাহুল্লাহ সহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা, আলেম এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এই সময় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কারি মুহাম্মদ ফাসিহউদ্দিন ফিতরাত হাফিযাহুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আমাদের সেনাদের শুধুমাত্র সামরিক ও আদর্শিক প্রশিক্ষণই দিচ্ছি না, বরং আধুনিক অস্ত্র ও উন্নত সামরিক সরঞ্জামেও সজ্জিত করছি। তবে আমাদের সামরিক প্রস্তুতি কোনো দেশ বা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নয়; বরং আমাদের দেশের সীমান্ত ও ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষার জন্য। আমরা প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শক্তি প্রয়োগ বা যুদ্ধ চাই না, বরং সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। তবে কেউ যদি আমাদের উপর জোর-জবরদস্তি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের সেই একই উত্তর দেব, যা অতীতে তিনটি সুপার পাওয়ারকে দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মকর্তারাও বক্তব্য দেন এবং বলেন, ‘আমাদের সকলের লক্ষ্য হবে আল্লাহর দীনকে উচ্চে তুলে ধরা। আমাদেরকে দেশ রক্ষা ও নিরাপত্তায় আত্মনিয়োগ করতে হবে, জনগণের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদের সংরক্ষণে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।’
ছবিতে দেখুন স্নাতক অনুষ্ঠানের কিছু উল্লেখযোগ্য দৃশ্য:
তথ্যসূত্র:
1. مراسم فراغت ۷۰۰ تن منسوبین اردوی اسلامی ملی با اشتراک لوی درستیز قوای مسلح برگزار شد
– https://tinyurl.com/2d96bvz7