
পূর্ব আফ্রিকাভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। সাম্প্রতিক যুদ্ধে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনীকে হটিয়ে দলটির বীর মুজাহিদিনরা সোমালিয়ার মানচিত্র জুড়ে বিশাল ও কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এদিকে শাবাবের আঞ্চলিক এই বিজয় অভিযান রুখতে দেশটিতে কথিত “সন্ত্রাসবাদ” দমন এবং ড্রোন অভিযানে বিশেষজ্ঞ ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক, যার মাধ্যমে তুরস্ক সোমালিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
সোমালিয়ায় তুর্কি বাহিনীর সাথে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে যে, “তুর্কি বাহিনী কেবল তুর্কি সম্পদ রক্ষা এবং সোমালি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য সেখানে রয়েছে। তারা কেবল প্রয়োজনে এবং আত্মরক্ষার জন্য আশ-শাবাবের সাথে লড়াই করবে।”
সোমালিয়ায় নতুন আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন যখন কাজ শুরু করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন তুর্কিয়ে সোমালিয়ায় আরও ৫০০ সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। এই মোতায়েনের ফলে সোমালিয়ায় ২০১৭ সালে নিযুক্ত তুরস্কের ৩০০ সদস্যের সৈন্য সংখ্যা বর্তমানে তিনগুণ ছাড়িয়েছে। জানা যায়, নতুন মোতায়েন করা ৫০০ সৈন্যের এই ইউনিটটি ৩০০ কমান্ডো এবং ২০০ সেনা সদস্য নিয়ে গঠিত। দাবি করা হচ্ছে, এই দলটি তুর্কি তুরস্কের তৈরি আকিনজি ড্রোন ও বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ব্যবহারে পারদর্শী। বলা হচ্ছে, দলটি আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তুর্কি ড্রোন হামলাকে আরও জোরদার ও শক্তিশালী করবে।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, সোমালিয়া নিয়ন্ত্রণে অক্ষম পশ্চিমা সমর্থিত ভঙ্গুর মোগাদিশু সরকার, বর্তমানে তুরস্ক ভঙ্গুর এই সরকারের পতন রোধে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই দখলদার বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে আশ-শাবাবকে রাজধানী মোগাদিশু বিজয় থেকে বিরত রাখা এবং দেশটিতে একটি ব্যাপক ও স্বাধীন ইসলামী শরিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করা। তুরস্ক এই লক্ষ্যে স্থল বাহিনী এবং ড্রোন মোতায়েনের পাশাপাশি, কোনও জবাবদিহিতা ছাড়াই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সাথে সোমালিয়ার সম্পদ এবং বিনিয়োগকে কাজে লাগাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ার আশ-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ১৬ বছর ধরে চলা যুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রুসেডার জোটের অংশ হয়ে তুর্কি বাহিনী কাজ করছে। এই বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে দেশটিতে পশ্চিমা আধিপত্য টিকিয়ে রাখা এবং মুজাহিদদেরকে একটি স্বাধীন ও ব্যাপক ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা থেকে বিরত রাখা। মুজাহিদিনরা যখন মানচিত্র জুড়ে সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সফল হচ্ছেন, তখন সোমালিয়ায় তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্য হল এই বিজয়কে বিপরীতমুখী করা এবং ভঙ্গুর মোগাদিশু সরকারকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত এলাকাগুলো দখল করতে সহায়তা করা।
মিডল ইস্ট আই এর সূত্রমতে, এই লক্ষ্য অর্জনে তুরস্ক “প্রয়োজনে সোমালিয়ায় আরও ড্রোন মোতায়েন করবে এবং মোগাদিশু বাহিনীকে আর্টিলারি সহায়তা দেবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. تركيا تنشر المزيد من القوات في الصومال لقتال حركة الشباب المجاهدين
– https://tinyurl.com/4xu6d3tm
এই তুরস্ক তো আফগানেও বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলো। এমনকি তালিবানদের বিজয়ের পর বিজয় চুরি করে আবার সেকুলার রাষ্ট্র বানানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো। সেখানো তো আর সফল হয়নি। কিন্তু সিরিয়ায় ঠিকই সফল হয়েছে বা হচ্ছে। যদিও এখনো আশা আছে সিরিয়া ইসলামী শরীয়াহ দিয়েই চলবে। যাইহোক এখন সোমালিয়াতে সর্বশেষ চেষ্টা করতে গিয়েছে আরকি। মূলত এদের যে পরিপূর্ণ ইসলামে চুলকানি সেটা তো আর বলা যাবে না। দেখা যাক চূড়ান্ত বিজয় কার হয়! ক্রুসেডারদের নাকি মুসলিমদের। আমরা অপেক্ষায় আছি কয়টা ড্রোন আমাদের ভাইদের গনিমত হিসেবে উঠে। আল্লাহই আমাদের সহায়।