দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যায় পুলিশকেই ধন্যবাদ দিল সন্ত্রাসী অমিত শাহ

0
1135

ভারতে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএ-র প্রতিবাদীদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বুধবার (১১ মার্চ) তিনি এই ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।

অমিত শাহ বলেন, পুলিশের সঙ্গে লাগাতার আলোচনার মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে প্রথম সংর্ঘষের খবর আসে। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় শেষ খবর পাওয়া যায়।

তিনি দাবি করে বলেন, আমি রেকর্ডে বলেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারির পর, সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অথচ, ২৪ ফেব্রুয়ারিতে  গেরুয়া সন্ত্রাসীদের উন্মত্ত ভিড়টাকে যেন পুলিশই নেতৃত্ব দিচ্ছিল। উর্দিধারী ইঙ্গিত দিতেই পড়িমরি ছুট লাগাল জনতা। তার পরেই শুরু দেদার পাথর ছোড়া। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল, সে দিন পাথর ছুড়েছিল দিল্লি পুলিশও। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পরে সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব দিল্লির খজুরী খাস এলাকার ওই মহল্লায় যান বিবিসি-র এক সাংবাদিক। তাঁকে হিমাংশু রাঠৌর নামে এক স্থানীয় যুবক জানান, সে দিন পুলিশই তাঁদের পাথর জোগাড় করে দিয়ে বলেছিল— ‘মারো’।

খজুরী খাস থানা এলাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের গা ঘেঁষে সে দিন পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে ঠিক সেই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেই কথা বলেন বিবিসি-র সাংবাদিক। কচুরির দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা গেরুয়া তিলক পরা হিমাংশুর মতো রাস্তার ও-পারে পোড়া বাড়ি আগলে পড়ে থাকা ভুরা খানের কথাতেও উঠে আসে ‘পুলিশি তৎপরতার’ কথা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের সঙ্গেই সে দিন আমাদের বাড়ি-দোকান জ্বালাতে এসেছিল গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। সব শেষ হয়ে গেল, পুলিশ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল!’’ সে দিন কোনও রকমে ছাদে পালিয়ে এসে প্রাণে বাঁচেন ভুরা খান।

বিবিসির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহের আরও একটি ভিডিয়ো উঠে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ফয়জান নামের এক যুবক ও তাঁর জনা চারেক সঙ্গীকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে ‘জনগণমন’ গাইতে বাধ্য করেছিল দিল্লি পুলিশ। ঘটনার কয়েকদিন পরেই  হাসপাতালে মারা যান ফয়জান। যে কর্দমপুরী এলাকায় তাঁর বাড়ি, সেখানেও যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

দিল্লি পুলিশ সূত্র বলছে- ২৪,২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের থেকে জরুরি সহায়তা চেয়ে বিপদগ্রস্তরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছেন মোট ১৩ হাজার দু’শ বার। বাসিন্দাদের অ’ভিযোগ, তৎক্ষণাৎ সাহায্য পাঠানো দূরের কথা, অধিকাংশ কলের উত্তরই দেয়নি কন্ট্রোল রুম।

এমনিভাবে, পুলিশের সামনেই চলছিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

পুলিশের সামনেই চলছে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধউইঘুর মুসলিম বন্দী শিবিরে করোনা ভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকি
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত