আজ রোববার (০৫/০৪/২০২০) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রেস কনফারেন্স করে প্রধানমন্ত্রী শেইখ হাসিনা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য নতুন করে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার কথিত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় এই প্রেস কনফারেন্সে। কথিত প্রণোদনার আড়ালে মূলত মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার। প্রণোদনার টাকার অংক বিশাল শোনা গেলেও এই অর্থ সরাসরি দরিদ্র মানুষকে দেয়া হবে না। পাঁচটি প্যাকেজ আকারে প্রণোদনার অর্থ প্রদান করা হবে । প্যাকেজের দিকে তাকালেই সেবার নামে প্রতারণার চিত্র পরিষ্কার উঠে আসবে । প্যাকেজে বলা হয়েছে,
প্যাকেজ-১: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল–সুবিধা দেওয়াঃ
ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণের ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ সুদভিত্তিক ঋণ দেওয়া।
এ ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে । অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ-২: ক্ষুদ্র (কুটিরশিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদান:
ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ সুদভিত্তিক ঋণ দেবে।
এ ঋণে সুদের হারও হবে ৯ শতাংশ। ঋণের ৪ শতাংশ সুদ ঋণগ্রহীতা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ-৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো:
ব্লক টু ব্লক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি–সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফের বর্তমান সুদের হার LIBOR + ১.৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
প্যাকেজ-৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন সুদভিত্তিক ঋণ চালু করবে। এ ঋণসুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।
প্যাকেজ-৫: রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা পরিশোধ করার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন কথিত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে শেইখ হাসিনা।
এভাবে পুরো প্যাকেজ জুড়েই সুদভিত্তিক ঋণের ছড়াছড়ি । সুদ একটি চরম মানবতাবিরোধী অপরাধ। আল্লাহর কাছে অত্যন্ত অপছন্দনীয় হারাম বিষয় ।মহামহিম আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর । পবিত্র কুরআনুল কারীমে বর্ণিত হয়েছে,
“যদি তোমরা (সুদ) পরিত্যাগ না করো তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।”(সূরা বাকারা- ২৭৯)
আবূ জুহাইফা রাযি. থেকে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুদ খায় এবং যে ব্যক্তি সুদ দেয় উভয়ের উপরই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ বুখারী; হা.নং ৫৯৬২)
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে দেশবাসী যখন উদ্বিগ্ন , কর্মহীন , অসহায় । আর তখনই তাগুত সরকার জনগণকে সুদের জঘন্য পাপাচারে উৎসাহিত করছে । একদিকে অসহায় মানুষের উপর অন্যায় করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ লুণ্ঠন করছে আর অন্যদিকে সে অর্থ দিয়েই ঋণের নামে সুদ নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে । সাধারণ মানুষের বাস্তবিক কোন উপকারের লক্ষণ নেই আওয়ামীলীগ ঘোষিত এই প্রণোদনা প্যাকেজে । বরং আল্লাহর সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে, জনগনকে সুদ দিতে বাধ্য করে আরো ভয়ঙ্কর বিপদের মাঝে ফেলতে চাচ্ছে বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের।
লেখক: রেদোয়ান সায়িদ, ইসলামী চিন্তাবিদ।
আমাদের দেশে শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভা এদের যে বক্তব্য গুলো এদের এই বক্তব্যের কারণে আল্লাহ আমাদের উপরে ভয়াবহ আযাব চাপিয়ে দেবেন যেমন বক্তব্যগুলো দিয়েছে কোন নাস্তিক এরকম বক্তব্য দেয় না আমার মনে হয় তাগুত হাসিনা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের কারণে আমাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ চাপিয়ে দেবেন।