কাশ্মিরে মালাউনদের ‘সাজানো বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ

2
996
কাশ্মিরে মালাউনদের ‘সাজানো বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ

সশস্ত্র গ্রুপের সমর্থক ও হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তিন যুবকের হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কাশ্মির। পরিবারের দাবি, ওই যুবকেরা নিরীহ আর তাদের আরেকটি সাজানো বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বুধবার পরিবারের সদস্যরা শ্রীনগরের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার শ্রীনগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জুবায়ের আহমেদ লোন (২৫), আতহার মুস্তাক ওয়ানি (১৬) ও আইজাজ মকবুল গানাই (২২)। সোপিয়ান ও পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা তারা। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তারা নিজেদের বাড়ি থেকে বের হয়। তারা বলছেন, ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

জুবায়ের আহমেদের ভাই ইরফান আহমেদ লোন বলেন, ‘এটা পরিষ্কারভাবেই একটা ভুয়া বন্দুকযুদ্ধ।’ তিনি জানান, তার ভাই স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর সোপিয়ান জেলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ইরফানের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাই বাড়িতে খাবার খেয়ে বের হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এই তরুণ। এছাড়া নিহত অপর দুই তরুণ আতহার মুস্তাক ও আইজাজ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা ছাত্র আর বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতো। আতহার একাদশ শ্রেণির আর আইজাজ কলেজ শিক্ষার্থী হলেও তারা উভয়েই বন্ধু ছিল বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।

ইরফান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাছে জানতে চাই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমার ভাই কীভাবে মিলিট্যান্ট হয়ে গেলো? অস্ত্র কীভাবে পেলো আর সশস্ত্র গ্রুপে কীভাবে যোগ দিলো? কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রশিক্ষণ কীভাবে পেলো?’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দুনিয়া এটা নিয়ে কথা বলুক। কারণ, তা না হলে ভবিষ্যতেও তারা ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে আরও বেশি মানুষ মারবে।’

গত জুলাইতে তিন শ্রমিককে সাজানো বন্দুকযুদ্ধে হত্যার দায়ে সপ্তাহখানেক আগে এক সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে ভারতীয় পুলিশ। ওই কর্মকর্তা এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ওই শ্রমিকদের হত্যার পর তাদের মরদেহের পাশে অস্ত্র রেখে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাজানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় দখলদারিত্ব ও অপশাসনের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে ১৯৮৯ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, সশস্ত্র এই বিদ্রোহে পাকিস্তান অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে। তবে ইসলামাবাদ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাঁদা না দেয়ায় ফটিকছড়ি মাদরাসায় যুবলীগ সন্ত্রাসীর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে গত বছরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৬৫ জন