পাকিস্তানের বাজোর, পাখতুনখো ও ইসলামাবাদে দেশটির মুরতাদ বাহিনীর উপর ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন পাক-তালিবান। এতে কর্নেলসহ ৫ মুরতাদ সদস্য নিহত এবং আরো বেশ কিছু মুরতাদ সদস্য আহত হয়েছে।
এরমধ্যে লাক্কি মারওয়াতের একটি পুলিশ চেকপোস্টে লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায়, পুলিশ কনস্টেবলসহ কমপক্ষে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৯ মে সন্ধ্যায়, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জানবায মুজাহিদিনরা খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলায় অবস্থিত মুরতাদ বাহিনীর একটি চেকপোস্টে তীব্র হামলা চালিয়েছেন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় মুরতাদ পুলিশ বাহিনীর একটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।
হামলার ফলে এক পুলিশ কনস্টেবল মুহাম্মদ শাহ ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অপর এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়।
টিটিপির মুখপাত্র- মোহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, সংঘর্ষে আমাদের দুই মুজাহিদ সাথী শহীদ হয়েছেন। শহীদ সাথীরা হলেন, আবু বকর এবং আল কায়েদা।
এর একদিন আগে, বাজোর এজেন্সির বার-চামারকান্দ সীমান্তে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মাইন মাস্টার্স মুজাহিদিনরা, রাত আড়াইটার দিকে ‘প্ল্যান্টেড আইইডি’ দিয়ে একটি মুরতাদ সেনা বাহিনীর একটি গাড়ি টার্গেট করে সফল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
মোহাম্মদ খোরাসানী স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, এই হামলায় এক সৈন্য মারা গিয়েছে এবং আরো বেশ কিছু সৈন্য আহত হয়েছে।
একইদিনে পাকিস্তান মুরতাদ সামরিক বাহিনীর কর্ণেল তারিক কুরইশী ও এক প্রাক্তন প্রবীণ সেনা কর্মকর্তাকে ইসলামাবাদে গুলি করে হত্যা করেন টিটিপির জানবায মুজাহিদগণ।
নিহত কর্নেলের ছেলে সাদিক ইসলামাবাদ পুলিশকে জানায়, তার বাবা তারিক কুরইশিকে তারা বাড়ির বাথরুমে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পেয়েছে।
হৃদয় প্রশান্তিকর নিউজ।