আল-কায়েদার দীর্ঘ অবরোধে পরাস্ত সন্ত্রাসী মিলিশিয়া : দলে দলে আত্মসমর্পণ

ত্বহা আলী আদনান

2
1394
আল-কায়েদার দীর্ঘ অবরোধে পরাস্ত সন্ত্রাসী মিলিশিয়া : দলে দলে আত্মসমর্পণ

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মোপ্তি রাজ্যের মারেবুগু নামক অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী ‘ডোনসো’ মিলিশিয়াদের দীর্ঘ ৮ মাস অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (JNIM) এর মুজাহিদগণ।

আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিশ্ছিদ্র এই অবরোধে টিকতে না পেরে গত ২০শে ডিসেম্বর বিকালে মুজাহিদদের শর্ত মেনে নিয়ে দলে দলে আত্মসমর্পণ করেছে ‘ডোনসো’ সন্ত্রাসবাদীরা।

এর আগে ২০১৯ সালের আগস্টে JNIM এবং ডোনসো এর মাঝে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল৷ কিন্তু ডোনসো মিলিশিয়ারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ফলে মুজাহিদরা এবছরের এপ্রিল মাস থেকেই মালির বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করেন, সেই ধারাবাহিতায় তখন ‘ডোনসো’ মিলিশিয়াদের ঘাঁটি মারেবুগু অঞ্চলকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন মুজাহিদগণ, সেই সাথে সন্ত্রাসী গ্রুপটির কৃষিকাজ ও অর্থনৈতিক লেনদেনের সকল পথ বন্ধ করে দেন তারা।

এরপর দীর্ঘ ৮ মাস যাবৎ মুজাহিদদের কঠোর অবরোধের শিকার হয় মিলিশিয়ারা, এই অবরোধ চলাকালে মুজাহিদিন বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে হয়। আঞ্চলিক সূত্রমতে, এসময় মুজাহিদদের হামলায় উক্ত অঞ্চলে অন্তত ১২০ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণও মারেবুগু অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন।

সুত্রে আরও জানা যায়, ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম মুজাহিদগণ এই অবরোধের সময় মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থামাতে একাধিকবার তাদের খাদ্যদ্রব্যের মজুদ জব্দ করেন এবং মিলিশিয়াদের অবস্থানে বোমা ও মর্টার হামলা চালাতে বাধ্য হন।

অবশেষে গত ২০শে ডিসেম্বর ডোনসো মিলিশিয়ারা পরাজয় শিকার করে এবং জেএনআইএম-এর শর্ত মোতাবেক তাদের সকল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মুজাহিদদের কাছে জমা দেয়। মুজাহিদরা বিনিময়ে তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ও চাষাবাদের উপর আরোপিত অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

ক্রুসেডার ফ্রান্স ও মালির মুরতাদ সরকার নিজেদের বিশাল সেনাবাহিনী দিয়ে মুজাহিদদের মোকাবেলা করতে না পেরে এসব গোত্রভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এসব সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিন্তু যেখানে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ৪টি আন্তর্জাতিক জোটের সেনারা পরাজয় শিকার করে মালি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, সেখানে এসব নামেমাত্র প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদীদেরকে মহান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সত্যিই হাস্যকর।

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণহত্যার প্রস্তুতি | ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ গ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধউপজাতি এলাকায় পাক-তালিবানের হামলায় পরাস্ত গাদ্দার সেনারা, হতাহত ২১ এরও অধিক