সোমালিয়ায় অপ্রতিরোধ্য আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। দলটির একের পর এক সফল অভিযানে বিধ্বস্ত কুফ্ফার জোট বাহিনীগুলো।
হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের এসব ধারাবাহিক বিজয় অভিযানের অংশ হিসেবে ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবারও সোমালিয়া জুড়ে কয়েকটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করছেন। যার ৩ টিতেই কমপক্ষে ১৮ গাদ্দার হতাহত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ সূত্র শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, এদিন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব দক্ষিণ সোমালিয়ার জুবা রাজ্যে সোমালি গাদ্দার সেনাদের টার্গেট করে একটি অতর্কিত সফল অভিযান চালিয়েছেন। মুজাহিদদের পরিচালিত উক্ত হামলায় সর্বনিম্ন ১১ গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়। এসময় মুজাহিদগণ ২টি ক্লাশিনকোভ সহ অন্যান্য কয়েকটি অস্ত্র গনিমত লাভ করেন।
একই রাজ্যে এদিন আরও ২টি পৃথক অভিযান চালান মুজাহিদগণ। যার একটি দখলদার কেনিয়ান সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা হামলার মাধ্যমে চালানো হয়। যাতে ২ ক্রুসেডার সৈন্য আহত হয়। মুজাহিদগণ অন্য অভিযানটি চালান গাদ্দার সোমালি সেনাদের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এখানেও বেশ কিছু গাদ্দার সেনা হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়।
হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন তাদের অপর একটি সফল অভিযান চালান রাজধানী মোগাদিশুর জারসাবালি এলাকায়। যেখানে দেশটির গাদ্দার গোয়েন্দা এজেন্সির সদর দফতর টার্গেট করে হামলাটি চালান মুজাহিদগণ। যার মাধ্যমে এক অফিসার সহ সোমালি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার ৫ সদস্যকে হত্যা করেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সেই সাথে সদর দফতর থেকে প্রচুর পরিমানে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেন মুজাহিদগণ।
এমনিভাবে সোমালিয়ার বে রাজ্যে এদিন ২টি টার্গেট কিলিং অপারেশন চালান মুজাহিদগণ। যার একটি চালানো হয় পশ্চিমাদের হাতের পুতুল সোমালিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী “মোহাম্মদ আবু বকর আবদি” কে টার্গেট করে। এই হামলায় সে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তার কিছু দেহরক্ষী হতাহত হয়।
মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় টার্গেট কিলিং অপারেশনটি চালান বাইদাউয়ে শহরের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা “আবদি শেখ মোহাম্মদ” লক্ষবস্তু করে। মুজাহিদগণ তাদের লক্ষপানে সফলভাবে আঘাত করলে উক্ত গাদ্দার কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
উল্লেখ্য যে, এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন রাজধানী মোগাদিশু, হাইরান ও বে রাজ্যে আরও ৪টি সফল অভিযান চালিয়েছেন। তবে এসব হামলার বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায় নি।