পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু ও কিসমায়ো শহরে ২টি সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে অফিসার সহ ১৮ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, আজ ১৮ এপ্রিল দুপুর বেলায়, দক্ষিণ সোমালিয়ার কিসমায়ো শহরে একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। হামলাটি সামরিক বাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে। বিস্ফোরকটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার পর একটি সামরিক “পিকআপ” সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এসময় এর আশপাশে অবস্থান নেওয়া ২ অফিসার সহ সোমালি গাদ্দার সেনাবাহিনীর ৭ সদস্য নিহত হয়। একই সাথে বোলোজদুদ এবং বারসাঞ্জোনি অঞ্চলে নিযুক্ত সামরিক বাহিনীর ১ কমান্ডার এবং সেনা অফিসার “মারাল” সহ আরও ৪ গাদ্দার সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালান রাজধানী মোগাদিশুতে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে। যেখানে সোমালি পার্লামেন্টের সদর দফতর লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা চালান মুজাহিদগণ। এরপর সেনাদের টার্গেট করে গুলি চালাতে শুরু করেন মুজাহিদগণ। এসময় উভয় বাহিনীর মাঝে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ফলে কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং তাদের বেশ কয়েকজন রক্ষী সহ ৭ এরও বেশি সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদগণ বরকতময় এই অভিযানটি এমন সময় শুরু করেছেন, যখন পিপলস অ্যাসেম্বলি এবং সেনেটের মধ্যে একটি যৌথ অধিবেশন চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা কয়েক ডজন ছাড়াবে।
এমন বীরোচিত হামলার পর ইসলামি চিন্তাবীদগণ বলছেন, আশ-শাবাব মুজাহিদিন এখন যখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালাতে পেরেছে, তাই তাদের পক্ষে এখন পুরো সোমালিয়া দখলে নিয়ে ইসলামি শরীয়াহ্ কায়েম করা সময়ের ব্যাপার মাত্র, ইনশাআল্লাহ্।
তথ্যসূত্র :
১। https://tinyurl.com/yu7yh8nf
২। https://tinyurl.com/2huwd5sn
Ma-Sa-Allah
মাশাল্লাহ,
ইন শা আল্লাহ, আমরা নতুন ইমারতে ইসলামের জন্য অপেক্ষায় আছি, এবং সাথে দোয়াও আছে।