বুরুন্ডিয়ান সেনাঘাঁটিতে যুগান্তকারী হামলার মাধ্যমে আল-কায়েদা মুজাহিদিনের ঈদ উদযাপন : নিহত ১৭৩, আহত ও বন্দী অসংখ্য

ত্বহা আলী আদনান

3
1477
বুরুন্ডিয়ান সেনাঘাঁটিতে আল-কায়েদার যুগান্তকারী হামলার মাধ্যমে  : নিহত ১৭৩, আহত ও বন্দী অসংখ্য

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় বহু বছর ধরে দখলদারিত্ব বজায় রাখেছে ক্রুসেডার আফ্রিকান জোট। আর এই দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতেই দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মে মঙ্গলবার, যখন মুসলিম বিশ্বের অনেকগুলো দেশ পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব পালনে ব্যাস্ত, তখন মুসলিম উম্মাহর ঈদের এই আনন্দঘন মুহুর্তেকে আরও আনন্দময় করতে ঐদিন সকালে সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় শাবেলি রাজ্যে যুগান্তকারী একটি সামরিক অভিযান চালান হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। বরকতময় এই হামলাটি সোমালিয়ার আইল বারাফ শহরে দখলদার আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের (এটিএমআইএস) বুরুন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শহিদী হামলার মাধ্যমে শুরু করেছেন মুজাহিদগণ।

সামরিক ঘাঁটিতে জানাবায ইস্তেশহাদী মুজাহিদ কর্তৃক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটার পর, আশ-শাবাবের আরও অনেক মুজাহিদ ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন এবং দখলদার বুরুন্ডিয়ান সেনা ইউনিটের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন।

কয়েক ঘন্টার তুমুল লড়াইয়ের পর ঘাঁটিটি আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, কয়েক ঘন্টার তীব্র এই লড়াইয়ে অন্তত ১৭৩ এর বেশি বুরুন্ডিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। একই সাথে আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হওয়া ছাড়াও বহু সংখ্যক সৈন্যকে আটক করেছেন মুজাহিদগণ।

সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, আশ-শাবাব মুজাহিদিন ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফ্রিকান জোট বাহিনীর অবশিষ্টাংশকে ধরতে এলাকাটিতে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এসময় আশ-শাবাব যোদ্ধারা বাইদাউয়ে শহরেও বুরুন্ডিয়ান সেনাদের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারী বোমাবর্ষণ করেছেন। ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর কারণ ছিল- যখন আইল বারাফ শহরে আশ-শাবাব যোদ্ধাদের আক্রমণে দিকভ্রান্ত দখলদার বুরুন্ডিয়ান সেনারা, তখন পালিয়ে আসা বুরুন্ডিয়ান সৈন্যদের উক্ত ঘাঁটি থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এটি উল্লেখযোগ্য যে, আশ-শাবাব সম্প্রতি মোগাদিশু সরকার এবং দখলদার বিদেশী সেনাদের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ বাড়িয়েছেন। আশ-শাবাবের দুর্দান্ত এসব অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে পশ্চিমা-সমর্থিত সোমালি সরকারকে উৎখাত করা এবং পশ্চিমা আধিপত্য থেকে দেশকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ইসলামী শরিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

3 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুদ্ধবিরতির আগে পাক-তালিবানের সর্বশেষ হামলা: হতাহত ৮ এর বেশি
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীর | প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বোমা হামলায় ভারতীয় ৭ দখলদার সেনা আহত