তীর্থ-যাত্রায় ধর্ম অবমাননা : নবীজি ﷺ ও মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.)-কে গালি

আব্দুল্লাহ বিন নজর

0
733

হিন্দুত্ববাদীরা এখন হিন্দু ধর্মটাকেই ইসলাম-বিদ্বেষী ধর্মে পরিণত করেছে। হিন্দু মানেই যেন ইসলামকে গালি দিতে হবে, নবীজি ﷺ-কে কটূক্তি করতে হবে অথবা কোন মনিষীকে গালিগালাজ করতে হবে; এটা যেন তাদের ধর্মের অংশে পরিণত হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারে তীর্থ-যাত্রা বা কান্নোর যাত্রা শুরু করে একদল লোক, যেটাকে অনেক পবিত্র মনে করে হিন্দুরা। কিন্তু গত ২৪ জুলাই এই তীর্থযাত্রার নামেই এখন তারা পথসভা করে প্রিয়নবী ﷺ-কে গালিগালাজ করছে, ভারতে ইসলাম প্রসারের নেপথ্য কারিগরদের একজন মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.)-কে গালিগালাজ করছে, তাদেরকে ধর্ষক সহ আরও অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ শব্দবাণে জর্জরিত করছে। আবু জেহেল ও লাহাবের মত ইসলামের ঘোরতর শত্রুরাও যে নবীর চরিত্র নিয়ে কোন কথা বলতে পারেনি, আজ এই গো-মূত্রপায়ীরা সেই মহান নবীর চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।

ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি উগ্র হিন্দুদের অন্তরের ঘৃণা ও জিঘাংসা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তারা যেকোন মূল্যে মুসলিমদের আবেগ উস্কে দিয়ে তাদেরকে মাঠে নামিয়ে তাদেরকেই দোষী বানিয়ে গণহত্যা শুরু করে দিতে চাইছে; কল্পিত রামরাজ্য অখণ্ড-ভারত প্রতিষ্ঠায় তাদের যেন আর তর সইছে না। এজন্য তারা নবী-অবমাননার জঘন্য পথকেই বেছে নিয়েছে, নবীজি ﷺ-এর প্রতি অন্তরের সব বিদ্বেষ ঢেলে দিচ্ছে তারা, নবীজির নামে কুৎসা রটাচ্ছে, মিথ্যা অপবাদ আরোপ করছে। তা না-হলে কথিত তীর্থ-যাত্রার মিছিল থেকে কেন প্রিয়নবী ﷺ ও তাঁর যোগ্য উত্তরসূরিদেরকে নিয়ে তাদের কুৎসা প্রচার করতে হবে, এর আর কি কারণ থাকতে পারে?

সাথে সাথে এটাও আমাদেরকে আমলে নিতে হবে যে, হিন্দুত্ববাদী প্রসাশন এই অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা তো নেয়ই না, বরং মুসলিমরা এমন জঘন্য কাজের প্রতিবাদ করলে তারা উল্টো মুসলিমদের প্রতিই চড়াও হয়; গুম-গ্রেফতার এমনকি হত্যা পর্যন্ত করে। বাংলাদেশেও আমরা একই চিত্র লক্ষ্য করি, ইসলাম-বিদ্বেষ ও মুসলিম নিধনের ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি যেন একই সূত্রে একই স্ক্রিপ্টে এগিয়ে যাচ্ছে, যার চূড়ান্ত পরিণতিতে রয়েছে ব্যাপকভিত্তিক মুসলিম গণহত্যা ও ইসলাম নির্মূল। মুসলিমরা এখনি সচেতন না হলে বা এখনি যথাযোগ্য প্রতিরোধ গড়ে না তুললে এর শেষটা হতে পারে শুধুই মুসলিমদের রক্তে- এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

হক্কানী উলামায়ে কেরাম আসন্ন গণহত্যার ব্যাপারে উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন। এখন তো পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মুসলিমদেরকে হয় নিজের মুসলিমিয়াত ত্যাগ করতে হবে, নাহয় উগ্র হিন্দুদের হাতে মরতে হবে। এমন পরিস্থিতে তাই সাত-পাঁচ না ভেবে মুসলিমদেরকে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছেন তাঁরা, সেই সাথে নবী অবমাননার বিরুদ্ধেও নিতে হবে কোঠর পদক্ষেপ। এছাড়া মুসলিমদের সামনে কোন বিকল্প পথ খোলা নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা।


তথ্যসূত্র :
———
1. This was supposed to be a religious yatra but all you hear is disgusting, derogatory and inflammatory speeches against our Prophet SAW and our Saints.
https://tinyurl.com/2p8t8s89
2. https://tinyurl.com/mr3ejrwr

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘পশ্চিমাদের ইসলাম বিরোধী প্রস্তাব মানা হবে না’- সাফ জানিয়ে দিলেন তালিবান
পরবর্তী নিবন্ধঘড়ি চুরির মিথ্যে অভিযোগে হিন্দু শিক্ষকদের পিটুনিতে মুসলিম ছাত্র খুন