হিন্দুত্ববাদী ভারতের আসামে এবার মুসলিমদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে হাস্যকর নতুন অভিযোগ- “ফ্লাড জিহাদ” (বন্যা জিহাদ)। হিন্দুত্ববাদীদের মতে আসামের শিলচরে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি করেছে মুসলিমরা।
ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ও জিঘাংসা এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন উগ্র গো-পূজারীদেরকে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে, তারা এখন তাদের এই হিংসাকে জায়েজ প্রমাণ করতে লাজলজ্জা ভুলে এমন হাস্যকর দাবিও সামনে নিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে এই উদ্ভট অভিযোগ এনে আবার পাঁচজন মুসলিমকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সেই মুসলিমদের প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ৩ জুলাই। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাঁদের ১৫ দিনের জন্য কারাগারে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত মুসলিমদের সকলেই শিলচরের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা।
আসাম এবার মে এবং জুন এই দুই মাস বন্যার কবলে পড়ে। কারণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ভারী বৃষ্টিপাত।
আসামে এমন বন্যা প্রায় প্রতিবছর হলেও এবারের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন রকম। কারণ এবার হিন্দুত্ববাদীরা এই বন্যাটিকে ব্যবহার করছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে। এবার সাধারণ হিন্দুদের মাঝে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দেবার জন্য হিন্দুত্ববাদীরা “ফ্লাড জিহাদ” নামের এক নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে।
অথচ আসামে বন্যা হবার জন্য দায়ী হিন্দুরাই। আসামে বেড়িবাঁধ রয়েছে প্রায় চার কিলোমিটারেরও বেশি। এর মধ্যে অনেকগুলোই হয়ে গেছে পুরাতন। এছাড়া বেড়িবাঁধগুলিতে প্রচুর ফাটলও দেখা দিয়েছে সঠিকভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এমনও উদাহরণ আছে যে, এলাকায় বন্যা না হবার জন্য হিন্দুরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেড়িবাঁধগুলি ভেঙে দিয়েছে।
মুসলিম এক্টিভিস্টরা বলছেন, ভারত এখন একটি ধর্মান্ধ রাষ্ট্রের নাম। এখানে ধর্মান্ধ ও উগ্র হিন্দুরা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্ঘটনাকে এখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে চালিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। ভারতে এখন ঠুনকো অভিযোগ এনে মুসলিমদের গ্রেপ্তার, গণপিটুনি, খুন করা খুব সাধারণ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাঁরা আরও বলছেন, মুসলিমদের এখন উচিত উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পাল্টা জবাব দেবার।
তথ্যসূত্র :
———
1. Five Muslims arrested in Assam for waging ‘flood jihad’
– https://tinyurl.com/mr2v249h
হামলার তীব্রতা বাড়ানো উচিৎ ওদের উপর।