আমাদের দেশে শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করা উচিত: ইন্দোনেশিয়ার আধ্যাত্মিক ধর্মীয় নেতা

ত্বহা আলী আদনান

0
741

শাইখ আবু বকর বশির, যাকে সশস্ত্র সংগঠন জামাতে ইসলামিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তিনি বলেছেন যে, ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান ইসলামী শরিয়ার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।

৮৪ বছর বয়সী ধর্মীয় এই নেতা দেশটির “কিয়োডো” নিউজের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়ার ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিকভাবে চালিত হওয়া ভুল বলে মনে করেন।

তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ইন্দোনেশিয়া একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়া উচিত, এমন একটি সরকারের বিপরীতে যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলি প্রয়োগ করা হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন যা করা দরকার তা হল ইসলামী আইনের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।

তিনি আরও যোগ করেন যে, আমি একটি চিঠিতে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোকে এই সম্পর্কিত বিষয়গুলি জানিয়েছি। এটি গ্রহণ করার জন্য আমি উইডোডোকে আরও চিঠি পাঠাবো।

শাইখ বশির উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামিক আইন ইতিমধ্যেই আংশিকভাবে ইন্দোনেশিয়ায় প্রয়োগ করা হয়। আর এসব আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য যে, আগস্ট ২০১০ সালে আবু বকর বশির ইন্দোনেশিয়ার আচেহ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তাঁর লোকদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন- এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গত বছর কারাগার থেকে মুক্তি পান শায়েখ বশির।

তাকে বন্দী করার পিছনে আরও ২টি কারণ দেখানো হয়, একটি হচ্ছে ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে সশস্ত্র হামলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শাইখ ওসামা বিন লাদেন (রহি.) এর লড়াইকে তিনি সমর্থন করতেন এবং যুবকদেরকে এই যুদ্ধের জন্য উদ্ভুদ্ধ করতেন। ফলে ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বশিরকে তাদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানায়, কিন্তু ইন্দোনেশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে।

তবে শেষ সাক্ষাৎকারে শায়েখ বশির জানান যে, ২০০৮ সালে পর্যটন কেন্দ্রের হামলার ঘটনার সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিলো না।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইডেন কলেজ প্রিন্সিপালের রুমেই এবার ছাত্রীকে আটকে নির্যাতন
পরবর্তী নিবন্ধএক আরাকানী মুসলিমের আর্তনাদ!