পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৪টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসব অভিযানে অন্তত ৭২ বুরকিনান সেনা নিহত এবং আরও ৮ সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ২৭ জুন দেদুগুউ প্রদেশের বোবো-গোলাসো এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিত অভিযান পরিচালনা করেছে জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। এতে ঐ কনভয়ের অন্তত ১০ সেনা নিহত হয় এবং বাকিরা যানবাহন ও অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি সাঁজোয়া যান, ১০টি মোটরসাইকেল, ১০টি ক্লাশিনকোভ, ৪টি পিকা, ৩টি আরপিজি ও ১টি দুশকা গনিমত লাভ করেন।
এর একদিন আগে গত ২৬শে জুন টোগো সীমান্তে এবং নুকাতে ২টি অভিযান পরিচালনা করেছেন ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা।
এদিন মুজাহিদগণ তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন টোগো সীমান্তবর্তী মাসাগা এলাকায়। এতে বুরকিনান বাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ১৫ সেনা নিহত হলে, বুরকিনান বাহিনী হাল ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি ক্লাশিনকোভ, ১৪টি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য আরও অনেক অস্ত্র গনিমত লাভ করেন।
একই দিন নুকা এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি বহরে অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এই অভিযানে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ৩৮ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি ক্লাশিনকোভ গনিমত লাভ করেন।
এদিকে, গত ২০ জুন বুরকিনা ফাসোর তাতো শহরে দেশটির ভিডিপি মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে একটি অ্যাম্বুশ পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এতে ঘটনাস্থলেই মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ৪ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও ৮ সৈন্য আহত হয়। বাকি সৈন্যরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গেলে মুজাহিদগণ ৪টি ক্লাশিনকোভ গনিমত লাভ করেন।
এর কিছু দিন আগে, গত ১৫ জুন ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ দেশটির স্কোয়াড্রন রাজ্যের নাওয়াক এলাকাতেও ভিডিপি মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অতর্কিত এই অভিযানে মিলিশিয়া বাহিনীর ৬ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ ৬টি ক্লাশিনকোভ ও ৬টি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
