ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় অন্তত সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মা’রিব প্রদেশে মাজযার এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক কুদস দিবস উপলক্ষে ইসরায়েল-বিরোধী একটি সমাবেশের প্রস্তুতির সময় সাহারি গ্রামে হামলা চালায় সৌদি বিমান বাহিনী।
প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার কুদস দিবস পালিত হয়। এদিন ইরান-ইয়েমেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের সভা-সমাবেশ, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কুদস দিবসের সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ইয়েমেনের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব তার ইসরায়েলি চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
প্রায় ছয় বছর আগে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে এক ‘অসম’ যুদ্ধ শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এ লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ইয়েমেনের হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ। ধ্বংস হয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
জাতিসংঘের মতে, বিশ্বে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।
সূত্র: পার্স টুডে
সম্মানিত কর্তৃপক্ষ, সংবাদের বিবরণ শিয়াদের মনে হচ্ছে। ইয়ামানের রাষ্ট্র পক্ষ কারা? সৌদি পন্থীরা না সৌদি বিরোধী ইরানপন্থী শিয়ারা? মুজাহিদ ভাইরা তো কোনো পক্ষেরই না।