আগস্টে ভারত তাদের জবরদখলকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের সময় থেকে উপত্যকাটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এখনো গোটা কাশ্মীর অবরুদ্ধ। তাতে করে সেখানকার অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসিআই) জানিয়েছে, এই সময়ে কাশ্মীরের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৪০ কোটি ডলার।
কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক আহমেদ বলেছেন, ‘গত ১২০ দিনে আমরা আমাদের অর্থনীতির প্রত্যেকটি সেক্টর রক্তাক্ত হয়েছে। আমরা আশঙ্কা কাশ্মীরের এই মারাত্মক সঙ্কট আগামী বছরও বোধহয় অব্যাহত থাকবে।’
সন্ত্রাসী মোদি সরকার গত আগস্টে ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে তাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দিখণ্ডিত করে। এমন সিদ্ধান্তের আগে থেকেই সেখানকার মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়, যা সম্প্রতি কিছুটা চালু হয়েছে।
বিতর্কিত ওই অঞ্চলটির সকল দোকানপাট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। তখন থেকে সেখানকার অর্থনীতিতের অচলাবস্থা চলছে। উপত্যকার অর্থনীতির চাকা নিয়ন্ত্রণকারী ফলের বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পর্যটনসহ অর্থনীতির বাকি খাতগুলোর অবস্থাও নাজেহাল।
কেসিসিআইএর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে আইটি এবং ই-কমার্সের মতো যেসব সেক্টর নির্ভরশীল সেগুলো অচল হয়ে রয়েছে। কাশ্মীরের ৮৫ বছরের পুরনো এই চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে দেড় হাজার বড় ব্যবসায়ী, ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী এবং রফতানিকারকরা সংশ্লিষ্ট।
কেসিসিআই সভাপতি আশিক আহমেদ বলেন, ‘ভারত সরকার উন্নয়নের কথা বলে তাদের নেয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে উল্টো অর্থনীতির ধস নেমেছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। বিশাল এই ক্ষতির জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।’