বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ বিশ্বমুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : বাবুনগরী

2
1337
বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ বিশ্বমুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : বাবুনগরী

বহুল আলোচিত শহীদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গায়ের জোরে বাবরি মসজিদের পবিত্র জায়গায় অপবিত্র মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করায় বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ মুসলমানরা কখনো মেনে নেবে না। আজ নয় কাল বিশ্বমুসলিম বাবরি মসজিদকে পুনরুদ্ধার করবে,ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, মসজিদ আল্লাহ তায়া’লার ঘর, পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা। মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের পবিত্র স্থান। যেখানে একবার মসজিদ নির্মাণ হয় তা সর্ব সময়ের জন্য মসজিদের হুকুমেই থেকে যায়। সেই জায়গার পবিত্রতা রক্ষা করতে হয়। বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। ভারত সরকারের এ কাজ মসজিদকে অবমাননার শামিল। আল্লাহ তায়ালার ঘর মসজিদের সাথে এই বেআদবীমুলক আচরণের কারণে মোদি সরকারের মসনদ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আজ মুসলমানদের পবিত্র স্থানে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর করে মুসলিম উম্মাহর কলিজায় ছুরিকাঘাত করেছে উগ্রবাদী মোদি সরকার। বাবরি মসজিদ স্রেফ একটি মসজিদ নয় উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন- বাবরি মসজিদ মুসলমানদের পাঁচশত বছরের ঐতিহ্য। মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করে মুসলমানদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ধর্মাচরণের স্বাধীনতার বিষয়টি ভারতের কুফুরী সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মান কাজ শুরু করে মুসলমানদের সেই ধর্মীয় স্বাধীনতাও হরন করা হয়েছে।
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন তা বিশ্বের সকল মুসলমানদের। বাবরি মসজিদ ইস্যু স্রেফ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং এর সাথে বিশ্ব মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতির সম্পৃক্ততা বিদ্যমান। তাই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে পুনরুদ্ধারে  বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়য়ের অপরিহার্য দাবী।(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

2 মন্তব্যসমূহ

  1. যখন বাবাড়িমাসজিদ ভাংগার পরি কল্পনা হয় তখন ২একটা মিটিং ও সাধারন আন্দোলনকেই ইসলামের সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিএছি, জখন ভেংগে ফেলা হল তখন ও তাই করেছি,এবার যখন মন্দির বানানো হবে,তখন গাছে কাঠাল রেখে গোফে তেল রেখেছি
    আজ কে যখন মন্দিরের বিত্তি স্থাপন সুরু করেছে,তখন আমরা কেবল পোস্টিং,সেন্ডিং,পিকিনং এবং লাইভিংকেই গুলি বানিয়েছি,যখন তারা পুজা শুরু করবে,তখন আমাদের পোস্টের,লাইভিংগের,নতুন মাত্রা যোগ হবে,তাদের পুজার আআরটিকেল।অনেক আলেম আবারো উচ্চ স্বরে কথা বলে লাইভিং এ নিজেকে দেখতে পাবে,আবার আলোচনার দ্বারা নিজেকে নিজে প্রবোধ করবে।তখন হঠাত একজন পোস্ট করবে রাম মন্দিরের ভিতরে ইসলামের অব মাবনা বন্ধ করুন।
    আবারো আরেক্টা নতুন ইস্যু কভারেজ করার সুজুগ মিলবে।
    ,,,,,,,যখনি আমরা সত্যি কারে ইসলামের জন্য জিবন দিতে পাড়ব,তখন ই আমাদের মুসলিম হওয়াটা সার্থকি মনে হবে।
    আর নাহয় হবেনা।
    (এই মন্তব্য বাবুনগরি হাফি.কে নয় বরং যারা উপজূক্ত তাদের জন্য।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাম্বিয়াকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার তথ্য দিতে ফেসবুকের অস্বীকৃতি
পরবর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে মালাউনদের পেলেটের শিকার মুসলিমদের যন্ত্রণা