গাম্বিয়াকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার তথ্য দিতে ফেসবুকের অস্বীকৃতি

1
1564
গাম্বিয়াকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার তথ্য দিতে ফেসবুকের অস্বীকৃতি

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে ফেসবুক মিয়ানমার আর্মির যোগাযোগের কোনো তথ্য গাম্বিয়াকে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কোনো দেশের সম্পর্কে এভাবে তথ্য দেয়ার মার্কিন আইনের পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে তথ্য না দেয়ার পক্ষে এমন যুক্তি উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।

গত জুনে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)-এ মামলা করার পর মিয়ানমারের কর্মকর্তারা কখন কিভাবে, কার সঙ্গে কি আলোচনা করেছেন এসব তথ্য চেয়ে অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধে সাড়া না দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।’

রয়টার্স এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে গামবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল দাওয়াদা জাল্লোও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে এ বছরের ২০ জানুয়ারি নেদারল্যাডন্সের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করে এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায়।

সে সময় ওই মামলার বাদি গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তাম্বাদু বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক বাসিন্দারা সংগঠিত হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, মায়ের কোল থেকে শিশুদের ছিনিয়ে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনে ছুঁড়ে মারছে, পুরুষদের ধরে ধরে মেরে ফেলছে, মেয়েদের ধর্ষণ করছে এবং সব রকমের যৌন নির্যাতন করছে।’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যার বিষয়ে সে দেশের গণমাধ্যমকে সরকার কোনো খবর প্রকাশ করতে বাধা দেয়ায় ঘটনা আড়ালে থেকে যায় দীর্ঘ দিন। সংবাদ প্রকাশের জেরে আটক করা হয় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককও। অন্যদিকে রোহিঙ্গারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গণহত্যার বিষয়ে কোনো পোস্ট করলে সেটি মুছে দিতো ফেসবুক। দাবি করে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা এক্টিভিস্ট। বন্ধ করে দেয়া হয় রোহিঙ্গাদের পরিচালিত বেশ কয়েকটি কমিউনিটি গ্রুপ। এতে গণহত্যার খবর গোপন থাকে। কিন্তু ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে গণহত্যা ভয়াবহ রূপ নেয়। রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে থাকেন। তখন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে থাকলে বিশ্বের ‍দৃষ্টি গোচর হয় ঘটনাটি।

পক্ষান্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক তরফা ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করতে থাকে। যার বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নিন্দা ও ফেসবুকের এমন কার্যক্রমের সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।

সূত্র:

১টি মন্তব্য

  1. পক্ষান্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক তরফা ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করতে থাকে। যার বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নিন্দা ও ফেসবুকের এমন কার্যক্রমের সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবরি মাসজিদের ভূমিতে রামমন্দির নির্মাণ: মুসলিমদের সুপ্ত চেতনায় স্ফূলিঙ্গের ছোঁয়া
পরবর্তী নিবন্ধবাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ বিশ্বমুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : বাবুনগরী