আর কত মৃত্যু হলে বিশ্বের বিবেক জেগে উঠবে?

4
1574
আর কত মৃত্যু হলে বিশ্বের বিবেক জেগে উঠবে?

ফিলিস্তিনে চলছে ইহুদি সন্ত্রাসীদের বর্বরতা। বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। নারী, শিশু কেউ তাদের পৈশাচিক হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

হুইলচেয়ারে বসেছিলেন ৩৩ বছরের ইয়াদ সালেহ। নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় ইসরায়েলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে। মুহূর্তেই বদলে যায় সবকিছু। প্রাণ যায় ইয়াদ সালেহ, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, তাঁদের তিন বছরের কন্যা ও ভাইয়ের। লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু। খবর এএফপির।

বিস্ফোরণের পর ইয়াদ সালেহর লিভিং রুমের সবকিছু ভেঙেচুরে যায়। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়েছিল ছোট্ট মেয়েটির দুমড়েমুচড়ে যাওয়া লাল রঙের খেলনা সাইকেল। মধ্যাহ্নভোজের জন্য ফ্রিজ থেকে খাবার বের করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ভেঙে গেছে সেই ফ্রিজ। ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে টমেটো ভরা বাটিটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১০ মে থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২৭ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু।

দেইর-এল-বালা এলাকায় সাগরতীরে ছিল ইয়াদ সালেহর বাড়ি। বাড়িটির সব সদস্যের মরদেহ এখন মর্গে। ভাই ওমর সালেহ (৩১) জানান, ইয়াদ সালেহ ১৪ বছর ধরে হাঁটতে পারতেন না। তিনি কোনো যুদ্ধ বা সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই কী করেছিল? তিনি তো হুইলচেয়ারে বসা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মেয়ে কী করেছে? তাঁর স্ত্রী কী করেছে। তাঁরা তো মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করছিল।’

ওমর সালেহ আরও বলেন, তাঁর ভাই ইয়াদ সালেহ বেকার। তিনি মা ও তিন ভাইয়ের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। তাঁরা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

গাজার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসেফ আবু আল রশিদ বলেন, ‘ঘরের মধ্যে নির্দোষ ব্যক্তিদের হত্যা করা বড় অপরাধ। আর কত মৃত্যু হলে বিশ্বের বিবেক জেগে উঠবে?’

শুধু ইয়াদ সালেহ নন, এ রকম হামলার শিকার হতে হয়েছে অনেক গাজাবাসীকে। তবু যেন দেখার কেউ নেই।

৫৮ বছরের উম ইয়াদের বাড়িতে চালানো হামলায় তাঁর ছেলে নিহত হয়। বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান উম ইয়াদ।

4 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তান | মুরতাদ বাহিনীর উপর পাক-তালিবানের পৃথক ৩টি হামলা
পরবর্তী নিবন্ধকেনিয়া | শাবাব মুজাহিদিনের বীরত্বপূর্ণ হামলায় ৩৪ এরও বেশি ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত