কর্নাটকে স্কুল-কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে কথিত আদালতে গিয়েছেন মুসলিম ছাত্রী হাজরা শিফা। হিন্দুত্ববাদী আদালতে গিয়ে নিজেদের অধিকার পাওয়ার পরিবর্তে নানাভাবে হয়রানি হয়েছেন। এ বার তার পরিবারের উপর হামলা করেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ছাত্রী জানান, হিজাব পরা নিয়ে তার অবস্থানের কারণেই হিন্দুত্ববাদী উগ্র জনতা তার ভাইকে আক্রমণ করেছে।ব্যাপক মারধর করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। এবং তার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
মুসলিম ছাত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এর পর হামলার শিকার কে হবেন?’
“হিন্দুত্ববাদীরা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল। শুধু এই কারণে যে, আমি আমার হিজাবের পক্ষে দাঁড়িয়েছি যা আমার ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় অধিকার। আমাদের সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। কেন?? আমি কি আমার অধিকার চাইতে পারি না?”
জানা গেছে, কর্ণাটকের উদুপি জেলার মালপের বিসমিল্লাহ হোটেলে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ ওই ছাত্রীর ভাই সাইফকে মারধর করা হয়েছে। হামলাকারীরা ২০-৩০ জন ছিল।
সারাদেশে মুসলিম ছাত্র, কর্মী এবং বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, যে মুসলিমদের ধর্মীয় পোষাক এবং বিধিবিধানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা দেশের ২০০ মিলিয়ন মুসলমানদের উপর সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী মূল্যবোধ আরোপ করার বৃহত্তর হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার অংশ।
যাদেরকে উপাধি দেওয়া হয়েছিল বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ, তারাই নিজেদের অধিকারের জন্য কথা বলার কারণে প্রকাশ্যে মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তবে বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসী এখন এটা নিশ্চিত হয়েছে যে, ভারত শুধুই মুসলিমদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য হিন্দুত্ববাদের নরখাদক দেহের উপর গনতন্ত্রের পোশাক পরেছিল। মুসলিমদের তখন এই বলে ধোঁকা দেওয়া হত যে, সকলের মত তোমাদের অধিকারও সমান। কিন্তু এখন যখন ভারত তার ঐ কথিত গণতন্ত্র ও সমঅধিকারের খোলস ছেড়ে তার হিন্দুত্ববাদী ভয়ংকর চেহারা সামনে আনছে, সকল ক্ষেত্রেই মুসলিমরা হিন্দুত্বাদীদের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
তাই মুসলিমদেরকে মুখোশধারি ও মুখোশ-ছাড়া – সকল হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যার বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে বাস্তবতাকে মকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
১। My brother attacked, father’s shop targeted for fighting hijab ban: Muslim student in Karnataka
https://tinyurl.com/mpxu6phb
২। https://tinyurl.com/2p97j63j