পাকিস্তানে দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনী ও ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মধ্যে তীব্র এক লড়াই সংঘটিত হয়েছে। যাতে প্রতিরোধ বাহিনীর ৫ জন বীর মুজাহিদ শহিদ হয়েছেন এবং গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর এক অফিসার সহ ৫ সেনা নিহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিন ওয়াম সীমান্তে ইসলাম বিরোধী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মধ্যে দীর্ঘ দশ ঘন্টার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
এই যুদ্ধে কাপুরুষ পাকিস্তানের গাদ্দার বাহিনী তাদের শত শত সৈন্য নিয়ে মাত্র পাঁচজন মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতরণ করে। এসময় তারা অত্যাধুনীক সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সেই সাথে এই যুদ্ধে স্থল বাহিনীকে সহায়তা করতে হেলিকপ্টার নিয়ে যুক্ত হয় বিমান বাহিনীও।
ফলে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত গাদ্দার সেনাবাহিনী ও প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এক ঘন্টা আর দুই ঘন্টা বরং ৫ জন মুজাহিদকে পরাস্ত করতে প্রায় ১০ ঘন্টা যাবৎ অভিযান চালায় গাদ্দার সেনারা। অবশেষে শত শত ইসলাম বিদ্বেষী সৈন্যের বিরুদ্ধে ঘন্টার পর ঘন্টা সাহসিকতার সাথে লড়াই করতে করতে শাহাদাতের পেয়ালা পানে ধন্য হন ৫ জন বীর মুজাহিদ। এরমধ্যমে এই বীর যোদ্ধারা তাদের পূর্ববর্তী সহযোদ্ধাদের মতো বুকে শাহাদাতের পদক নিয়ে জান্নাতের গন্তব্যের দিকে যাত্রা করেন। (ইনশাআল্লাহ্)
তবে দশ ঘন্টা ধরে চলা এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি মুজাহিদদের শাহাদাতের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যায় নি। কেননা এই বীরেরা শাহাদাতের আগে পাকিস্তানি গাদ্দার সেনাবাহিনীর এক এসএসজি অপারেটিভ সহ অন্তত ৫ সৈন্যকে গুলি করে হত্যা করেন।
অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, গাদ্দার পাকি সেনা ও টিটিপি মুজাহিদিনের মধ্যে সংঘটিত এসকল লড়াইয়ের তীব্রতা দেখেই বুঝা যায় যে, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঐ অঞ্চলটিও ইসলামি শরিয়তের শাসনাধিনে আসতে যাচ্ছে।