কুশিনগর জেলার পদরুনা কোতোয়ালি থানা এলাকার দরবার রোডের বাসিন্দা মুহাম্মদ আখতারকে (২৭) গত ২৫ নভেম্বর বাড়ির বিপরীতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে বাল্ব চুরির ঠুনকো অভিযোগে আটক করে মারধর করে। পরে লোকজন বিষয়টি কোতয়ালী থানাকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হেফাজতে নেয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ে বাড়িতে তাঁবু বসানো কর্মচারীরা পুলিশের সামনেই তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। যার কারণে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। ২৬ নভেম্বর পুলিশ তাকে চালান দেয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
অসুস্থতার কারণে কারা হাসপাতালে ভর্তি
প্রায় এক সপ্তাহ আগে, প্রচণ্ড মারধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেওরিয়া জেলের কর্মীরা আখতারকে জেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আক্তারের মা আয়েশাও দুইবার কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং আখতারের গুরুতর অবস্থা দেখে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে কারা প্রশাসন চিকিৎসার কথা জানায়। সোমবার রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কারাকর্মীরা আক্তারকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
স্বজনরা আসার পরপরই মৃত্যু ঘটে
গত ২৫ ডিসেম্বর, সোমবার আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১১টার দিকে পদরুনা কোতোয়ালীর দুই কনস্টেবল আখতারের অসুস্থতার কথা স্বজনদের জানায়। মঙ্গলবার স্বজনরা জেলা হাসপাতালে পৌঁছালে কিছুক্ষণ পর আখতারের মৃত্যুর খবর পান।
উল্লেখ্য, এমন ছোটখাটো বিষয়ে মিথ্যে অভিযোগে কখনো কোনো অমুসলিমকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় না। শুধু মুসলিম হওয়ার কারণেই মুহাম্মদ আখতারের উপর অমানবিক জুলুম করা হয়েছে। যার ফলে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে কয়েকদিন পরপরই মুসলিমদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কোনো অমুসলিম নিহত হওয়ার কথা শোনা যায় না।
তথ্যসূত্র:
——–
- देवरिया जेल में बंद कैदी की इलाज के दौरान मौत:26 नवंबर को जिला जेल में दाखिल हुआ था अख्तर, एक सफ्ताह पहले अस्पताल में हुआ था भर्ती