ধামরাইয়ে রাস্তা বর্ধিত ও সংস্কারকরণ নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড থেকে কালিয়াকৈর-গাজীপুরের মাওনা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৫০ কিলোমিটারের উভয় পাশে প্রশস্ত, পাকাকরণ ও সেতু-কালভার্ট নির্মাণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর আগে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এ সড়কের কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে শরীফবাগ বাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত সমাপ্ত করলেও ঢুলিভিটা থেকে আইঙ্গন হয়ে শরীফবাগ বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটুকুতে শুধুমাত্র বালি ও পাথরের খোয়া দেওয়া হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। এর মধ্যে ঠিকাদার পরিবর্তন হওয়ায় কাজের অগ্রগতি একেবারে নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় সড়ক থেকে প্রচুর পরিমানে ধুলোবালি উড়ে আশেপাশের বাসাবাড়িতে গিয়ে একাকার হয়ে যায়। ঠিকাদারের অবহেলায় জনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। রাস্তায় পানি না দেওয়ার ফলে আশেপাশের বাসাবাড়িতে ধুলোবালিতে ভরে যায়। পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না। হেটে গেলে তাদের গায়ে ধুলোর আস্তর পড়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আশেপাশের লোকজন চরম অস্বস্তিতে বসবাস করছেন। ঠিকাদার ও তাদের লোকজনদের বললেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ফারুক হোসেন, স্বপনসহ অনেকে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একদিন কাজ করলে ১৫দিনের মধ্যে কোনো খবর থাকে না। আমরা জানি না কোন কারণে এই সড়কটি কাজে এমন ধীরগতি। এছাড়া রাস্তায় পানি না দেওয়ায় ধুলোবালিতে অনেকের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউসুল হাসান মারুফ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কের অবস্থা খারাপ। ঠিকাদার পরিবর্তন হওয়ায় সড়ক সংস্কার কাজে ঠিকাদারের অবহেলা আর গাফিলতির কারণে অগ্রগতি একেবারেই নেই। এছাড়া জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তায় পানি দেওয়ার কথা বলে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। কালের কণ্ঠ