আযাদ কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় ও বাকওয়ালি গ্রামে বৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের ফলে ভূমিধস ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যার ফলে উপত্যকায় ১৩০ টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, 67 জন মারা গেছেন, উদ্ধার কর্মীরা উপত্যকা থেকে ৬১ জনের মৃতদেহ এবং ৫৩ জনকে আহত অবস্থায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন, বাকিদেরকে উদ্ধার করার জন্য পাক সেনারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রখেছে।
এদিকে বেলুচিস্তানে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ চুড়ায় এসে পৌঁছেছে। যেখান এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
বিশদ তথ্য মতে, আজাদ কাশ্মীর উপত্যকার সরগুন অঞ্চলে একটি বরফের হিমালয় থেকে বরফের বিশাল খন্ড ধসে পড়ে, যার ফলে সেখানকার বাকওয়ালী ও সিরি নামক দু’টি গ্রাম ডুবে যায়, এর ফলে 67 জন মারা যান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত এবং রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ফলস্বরূপ স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার সময়মতো ত্রাণ কাজ শুরু করতে পারেনি বলে দাবি করছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার সকালে পাক আর্মিরা হেলিকপ্টার দিয়ে বাকাওয়ালি গ্রাম ও সেরি গ্রাম থেকে 61 জনের লাশ উদ্ধার করেছে এবং 53 জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।
এমনিভাবে দুধনিয়ালায় বরফের আচ্ছাদিত বাড়ি একটি বাড়ি থেকে হাফিজ নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাইল এলাকার “ধোকি চাকনার” এলাকায় ছয়টি বাড়ি বরফের আচ্ছাদিত হয়ে পড়লে সেখান থেকেও আরো ৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপত্যকার “নারিল” এলাকা হতে চল্লিশটি পরিবারকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বেলুচিস্তানেও গত 24 ঘন্টার তীব্র বৃষ্টিপাত ও ভারী তুষারপাতের ফলে “খানোজাইয়” এলাকায় কয়েকটি বাড়ির ছাদ ধসে ৫ শিশু সহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।