শেখ মুজিবরের জন্মের ১০০ বছর উপলক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ একবছরকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার।
এই ‘মুজিববর্ষ’ উৎযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের রাক্ষসরা চাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা! বৈধভাবে আবার এগুলো আদায়ও করে নিচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে কেবল খেলাধূলার জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১৭৬ কোটি টাকা! এভাবে, একদিকে যখন দেশে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে, তখন মুজিববর্ষ নামক শিরকী মুজিবপূজার নানা আয়োজনে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করার রাষ্ট্রীয় বৈধতা অর্জন করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। কিন্তু, এই টাকাগুলো কাদের? এগুলো কি হাসিনা সরকারের কামাই করা টাকা, যে তারা তাদের ইচ্ছামতো এ টাকা নষ্ট করবে? না, বরং এগুলো হলো জনগণের রক্ত চুষে আদায় করা ট্যাক্সের টাকা।
জনগণের টাকা খেয়ে জনগণের জীবন নিয়েই উপহাস করছে এই আওয়ামী লীগ বাহিনী। যেভাবে পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে জনগণের লাশ নিয়ে উৎসবে মেতেছিল আওয়ামী গুণ্ডারা, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি হেসেছিল তাচ্ছিল্যের হাসি।
আজ যখন দেশের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, মহামারী আকারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে; ; তখন আওয়ামী লীগের পিশাচরা জনগণের টাকা নিয়ে ‘মুজিববর্ষ’-এর নামে আনন্দ-ফূর্তিতে মেতে রয়েছে, অশ্লীল নৃত্য ও গান-বাজনার আয়োজন করছে। পাশাপাশি মুজিববর্ষের নামে চলছে চাঁদাবাজি। জনগণের কাছ থেকে করের নামে কয়েকশ কোটি টাকা নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি লীগ সন্ত্রাসীরা। তারা সময়-সুযোগে অস্ত্র ও ক্ষমতার বলে জনগণের কাছ থেকে চাঁদাও তুলছে।
এভাবে, সারা দেশ যখন করোনাভাইরাসের মতো মহামারী রোগ নিয়ে চিন্তিত, তখনও আওয়ামী লীগ সরকারের হিংস্রতায় বিন্দুমাত্র কমতি দেখা যায়নি। যেন জনগণের রক্তচুষেই তারা মজা পায়, জনগণের লাশের মিছিলেই তাদের হৃদয় প্রশান্ত হয়।
লেখক: আহমাদ উসামা আল-হিন্দ, সম্পাদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।