লেবাননের ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, একটি পরিকল্পিত হামলা। বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এমন আশঙ্কা দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের।
বিস্ফোরণের চার দিন পর শুক্রবার বৈরুতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সন্দেহের কথা তুলে ধরেন আউন।
তিনি বলেন, শস্যভাণ্ডার ধ্বংসের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এতে বাইরের কোনো দেশের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
বাইরে থেকে রকেট হামলা, বোমা অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে গুদামঘরে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন লেবানিজ প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট অ্যামেনুয়েল ম্যাক্রন লেবানন সফরে গেলে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন তার কাছে বিস্ফোরণের সময়কার স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবি দিয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বিদেশি ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখতে চায় দেশটির সরকার।
বিস্ফোরণের নেপথ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র ও যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তদন্তে এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনভাবে তদন্ত চলছে, প্রথমত বিস্ফোরক উপাদান কীভাবে গুদামঘরে ঢুকল এবং সংরক্ষণ কীভাবে করা হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনাবশত অথবা অবহেলার কারণে হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবশেষ এতে বাইরের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী লেবাননের প্রেসিডেন্ট।
লেবানন থেকে সাইপ্রাসের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার হলেও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সে দেশের জনগণের মধ্যে। অনেকেই ভেবেছিলেন তাদের আশপাশের কোথাও বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র :ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ইন্না-লিল্লাহ!
আল্লাহ তাআলা শোকার্ত পরিবারকে সবরে জামীল ইখতিয়ারের তাওফীক দান করুন, আমীন।
ai hamlai Isreal and Americar somporko ashe
اللهم انصر على قرية الظالم اهلها وانصر على المجاهدين فى الاسلام.