স্কুলে হিজাব পরে আসায় কয়েকজন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে প্রধান শিক্ষক। সাবালিকা ঐ মুসলিম ছাত্রীদেরকে শ্রেণীকক্ষেই হিজাব খুলতে বাধ্য করে হিন্দুত্ববাদী প্রধান শিক্ষক। হিজাব পরে স্কুলে আসলে ঐ মুসলিম ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের কর দেওয়ার হুমকিও দেয় সে।
না প্রিয় দর্শক, এটা হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিজেপি শাসিত কোন রাজ্যের কোন স্কুলের ঘটনা নয়। এটা ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার একটি স্কুলের ঘটনা। হিন্দু প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বড়ুয়া এই কাজ করেছে। ছাত্রীদেরকে সে একথাও বলেছে যে,‘হিজাব পড়লে তোমাদেরকে কালো কাকের মতো দেখায়’।
এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রীদের কান্নায় ক্লাসে উপস্থিত সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। অভিযোগে ইতিপূর্বে অনেক ছাত্রীদের এ ধরনের হেনস্তা করার কথাও উল্লেখ আছে।
এবার ঠিক বিপরীত চিত্রটা একটু ভাবুন। ভারতে যদি কোনমুনলিম শিক্ষক হিন্দুয়ানি চিহ্ন সংবলিত কারো কোন পোশাক খুলে ফেলার কথা বলতোও, তাহলে ঐ মুসলিম শিক্ষকের ভাগ্যে কি ঘটতো!
অথচ ৯০% মুসলিমের এই দেশে এক নিকৃষ্ট হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক সম্মানিত মুসলিম নারীদের হিজাব খুলে নিতে বলছে, তাদেরকে লাঞ্ছিত করছে।
আর এটাও একটু ভেবে দেখা দরকার যে, ভারত যদি কখন তাদের ভাষায়- ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতে’ এদেশে সৈন্য পাঠায়, তখন আমাদের প্রতিবেশী হিন্দুদের রূপ কেমন হতে পারে আমাদের প্রতি! ইসলাম বিদ্বেষী দালালদের আচরণই বা কেমন হবে তখন।
এরা আজ এদেশে বসে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিরোধ প্রদর্শন করছে। ইসলামি বিশ্লেষকগণ তাই সতর্ক করেছেন, কাল হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন শুরু হলে এরাই সবার আগে আমাকে-আপনাকে, আর আমাদের মা-বোনকে আগ্রাসী সেনাদের হাতে তুলে দিবে।
সময় এসেছে তাই, ইসলামবিদ্বেষী এই হিন্দুত্ববাদীদের ও তাদের দোসরদের রুখে দেওয়ার, হিন্দুত্ববাদের আসন্ন যে ঝড়, তার থেকে বাঁচতে নিজে সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার। আর পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদের এদেশীয় দালালদের চিনে নেওয়ার এবং উপযুক্ত সময়ে এদেরকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার।
নিজেদেরকে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদীদের গোলামী থেকে বাঁচাতে হলে এর কোন বিকল্প আছে কি না – এটাও মুসলিমদের ভেবে দেখতে বলেছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ বিন নজর