ঘটনাটি নাগপুরের। সেখানের এক বিধবা নারী ও তাঁর দুই কন্যা একমাস আগে ইসলাম গ্রহণ করেন। এই “অপরাধে” তাঁদের বাড়ি খালি করতে বলেছে সেখানকার উগ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
ঘটনাসূত্রে জানা যায় যে, সেই বিধবা নারীর স্বামী প্যারালাইজ হয়ে পরবর্তীতে মারা যান। এতে সেই নারী ও তাঁর কন্যাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। এমন অবস্থায় এক মুসলিম ব্যবসায়ী তাঁদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। সেই মুসলিম ব্যবসায়ী তাঁর দোকানে তাঁদেরকে জায়গা দেন। পরবর্তীতে সেই বিধবা নারী ও তাঁর কন্যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
সেই মুসলিম ব্যবসায়ী বলেন- “আমাদের মাঝে পারিবারিক বন্ধন রয়েছে, যার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না ইসলামের প্রতি কারো গভীর আকর্ষণ জন্মে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ ইসলাম গ্রহণ করে না।”
উল্লেখ্য যে, উক্ত ঘটনার পর সেই মুসলিম ব্যবসায়ীকেই দোষারোপ করেছে এলাকাবাসী। এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন সেই এলাকায় গণ-ধর্মান্তরের একটি ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে।
মুসলিম বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, সেই অসহায় নারী যখন বিপদের মধ্যে ছিলেন, তখন কোন উগ্র হিন্দু তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি। কিন্তু একজন মুসলিম ব্যবসায়ী তাঁকে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসলে এবং সেই ব্যবসায়ীর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাঁরা ইসলাম কবুল করলে উগ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে চাপ দিচ্ছে। এটিই মুসলিম এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মাঝে পার্থক্য।
তাঁরা আরও বলছেন, এই হিন্দুত্ববাদীরা আসলে খোদ নিজেদের সম্প্রদায়েরই কল্যান চায় না। তাদের একমাত্র এজেন্ডা হল- সমগ্র ভারত থেকে মুসলিম এবং ইসলাম কে নিশ্চিহ্ন করা। এবং পুরো ভারতকে মূর্খতার অন্ধকারে নিমজ্জিত করা।
তথ্যসূত্র :
———
1. Nagpur: Widow, daughters asked to vacate house for embracing Islam
– https://tinyurl.com/452nnr26