জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতির চীন সফর, কথা বলেনি উইঘুরদের নিয়ে

সাইফুল ইসলাম

0
409

চারদিনের সফরে চীনে গেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি। কিন্তু উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো আলাপ করেনি কোরোসি। গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে কোরোসির মুখপাত্র।

চায়না সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের সাথে টেকসই উন্নয়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বিষয়ে কথা বলতে কোরোসি গত ১ ফেব্রুয়ারিতে চীনে যাত্রা করে। এসময় সে জাতিসংঘে চীনের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা এবং পৃথিবী ও পৃথিবীবাসীর প্রতি চীনের ‘সাহায্য’-এর জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানায়।

এছাড়া সিকিউরিটি কাউন্সিল পুনর্গঠন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ও বহুপাক্ষিকতা নিয়েও আলোচনা করে সাবা কোরোসি। কিন্তু তার আলোচনায় উঠে আসেনি উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা।

কেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আলোচনা করেনি কোরোসি—এমন জিজ্ঞাসার জবাবে কোরোসির মুখপাত্র জানায়, “মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি আলাপ তুলেননি। এটি অফিসিয়াল সফর ছিল। পানি বিষয়ে টেকসই উন্নতির বিষয়টিই এ সফরের প্রধান লক্ষ্য ছিল।”

জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের গণহারে বন্দী করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম, জোরপূর্বক গর্ভপাত এবং বন্ধ্যা করে দিচ্ছে চায়না সন্ত্রাসী সরকার। আর মানবাধিকারের এমন জঘন্য লঙ্ঘন নিয়ে আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কথিত বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করা জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি চীন সফরে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা-ই তুলেনি।

উইঘুরদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ইরকিন সিদিক এ বিষয়ে বলেন, “জাতিসংঘের প্রতি ঘৃণা; এই ধরনের অকেজো সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।”

কেবল উইঘুর নয়, ফিলিস্তিন, রোহিঙ্গা-সহ সারাবিশ্বে মুসলিমদের উপর চলমান কোনো নির্যাতন নিয়েই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি জাতিসংঘ। এটি বরং কাফেরদের স্বার্থেই সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে করেন মুসলিমগণ।



তথ্যসূত্র:
——–
1. UN General Assembly President visits China, does not raise Uyghur repression
https://tinyurl.com/mrynkn4s

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর ঋণের ফাঁদে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধজায়নবাদী আগ্রাসন || এক মাসে ৩৫ ফিলিস্তিনিকে খুন